এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপের বাকি দুইদল শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের চেয়ে নিজেদের ব্যাটিং গভীরতাকে এগিয়ে রাখছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে ফরম্যাটের কারনেই তাঁর এই যুক্তি। সৌম্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছি আমরা।’

এশিয়া কাপকে সামনে রেখে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এরই এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন সৌম্য সরকার।

ব্যাটিং নিয়ে কথা বললেও সৌম্যদের মিশন এশিয়াকাপের তৃতীয় দিনের স্টিভ রোডসের ক্লাসটা ছিল ফিল্ডিং নিয়ে।

সৌম্য সরকার বলেন, ‘যেভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের চেয়ে আমরা এগিয়ে আছি। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেজাল্ট আমাদের পক্ষেই আসবে।’

সৌম্য শোনালেন আশার কথা, ‘কীভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হয় সেটা সবাই ধরতে পেরেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যে ক্রিকেট খেলার ধরণ, ওদের চেয়ে টপে আছি আমরা।’

ব্যাটিং লাইনআপে তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ এই চার সিনিয়রই দলের প্রয়োজনে লড়ছেন। জুনিয়রদের পারফরম্যান্সটা সেভাবে চোখে পড়ছে না। আর এতে চাপই বাড়ছে সিনিয়রদের ওপর।

চাপ নিয়ে কতদিন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তরুনদের আগলে রাখবেন সিনিয়ররা সেটা চিন্তার বিষয়। টপ ও লোয়ার অর্ডারে জ্বলে উঠতে পারছেন না সৌম্য, এনামুল, লিটন, সাব্বিররা। তারপরও নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে আশাবাদী সৌম্য। এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকেই।

এ ব্যাপারে সৌম্য বলেন, ‘সিনিয়ররা পারফর্ম করছে। সাথে সাথে জুনিয়ররাও করছে। হয়তো সেভাবে হাইলাইট হচ্ছে না।’

২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা,বাংলাদেশ,আফগানিস্তানের ম্যাচের হিসেবে রান করার তালিকায় শীর্ষ ১০ এ আছেন তামিম ইকবাল। প্রায় নব্বই গড়ে দুই সেঞ্চুরি ও চার ফিফটি এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান করেছেন ৮ ম্যাচে ৫৩৯ রান। ৫০ জনের তালিকায় অন্য বাংলাদেশি সাকিব আল হাসান।

আফগানিস্তানের রহমত শাহ,শেহজাদ,নবী,জারদানরা চলতি বছর ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। দুই পেরেরা কুশল ও তিশারা আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছাড়া শ্রীলংকার বাকিরা ধারাবাহিক না হলেও উপুল থারাঙ্গার অভিজ্ঞতা,কুশল মেন্ডিস,ডিকওয়ালা নামগুলো যে কোন দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং।