ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল আর্জেন্টিনার
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতন মেনে নিতে পারছিলেন না, আবার আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেন—এমন অনেকেই হয়তো বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন প্রিয় দলের একটি ম্যাচকে ঘিরে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে লিওনেল মেসিদের একটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইসরায়েলের বিপক্ষে। কিন্তু মেসিরা যেন সেই ম্যাচ না খেলেন, সে জন্য প্রবল প্রতিবাদ হয়েছে ফিলিস্তিনে। ম্যাচটি বয়কটের জন্য মেসিদের কাছে আহ্বান এসেছিল বিশ্বের আরো অনেক জায়গা থেকে।
শেষ পর্যন্ত ঠিক তেমনটাই করেছে আর্জেন্টিনা। বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে মেসিদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি। ফিলিস্তিনে যেভাবে ইসরায়েল মানুষ হত্যা করছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি হুগো মোয়ানো।
ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জিব্রাইল রাজোব হুমকি দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনা যদি সত্যিই জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে আসে, তাহলে আর্জেন্টিনার পতাকা, মেসির জার্সি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। তেমন প্রতিবাদ দেখাও গেছে ফিলিস্তিনের কিছু স্থানে।
এদিকে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বার্সেলোনায় গিয়েও মেসিদের পড়তে হয়েছে প্রতিবাদের মুখে। কাতালান একটি ফিলিস্তিন সমর্থক গোষ্ঠী আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের নাম ধরে ডেকে তাদের এই ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিল।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যাচটি বাতিল করাই যৌক্তিক মনে করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। প্রতিষ্ঠানটির সহসভাপতি হুগো মোয়ানো বলেছেন, ‘ম্যাচটা বাতিল হওয়ায় ভালোই হয়েছে বলে মনে করি। এটাই ঠিক হয়েছে। সেই জায়গাগুলোতে যা ঘটছে, যেভাবে তারা অনেক মানুষ মেরে ফেলছে, সেটা একজন মানুষ হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। এ নিয়ে আমাদের খেলোয়াড়দের পরিবারের মধ্যেও উদ্বেগ রয়েছে।’
একই রকম কথা শোনা গেছে আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইনের কাছ থেকে। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘তারা শেষ পর্যন্ত ভালো সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে।’