টটেনহ্যামের সেরা খেলোয়াড় হ্যারি কেইন ছিলেন ইনজুরিতে। শক্তিশালী চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের আগেই তিনি সেরে উঠেছিলেন। তবে চেলসির মতো শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও ঝুঁকি নেননি টটেনহ্যাম কোচ। দলের সেরা খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি টটেনহ্যামকে। প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে তাদের মাটিতেই ২৮ বছর পর হারাল টটেনহ্যাম। ৩-১ গোলের অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ৪১ হাজার ৩৬৪ সমর্থকের উপস্থিতিতে মাঠে নেমেছিল চেলসি। নিজেদের মাঠ বলে চেলসি কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে হেলা করেননি। শক্তিশালী একাদশই নামিয়েছেন টটেনহ্যামের বিপক্ষে। অবশ্য তাতেও পরাজয় এড়াতে পারেননি। লজ্জাজনক পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে অবশ্য চেলসিই এগিয়ে থাকে। দলটিকে গোল উপহার দেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এ মৌসুমে টটেনহ্যামে আসা আলভারো মোরাতা। হেড থেকে গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।

কিন্তু প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়েই সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের শট সোজা গিয়ে চেলসির জালে জড়ায়। ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুদল।

বিরতি থেকে ফিরে গোলের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে চেলসি। তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে টটেনহ্যামকে অনাকাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন ইংলিশ ফুটবলার দেলে আলি। এ গোলের আনন্দ উদযাপন শেষ না হতেই ৬৬ মিনিটে আবার দেলে আলির গোল।

৭৫ মিনিটে সনের পরিবর্তে দীর্ঘদিন ইনজুরির পর টটেনহ্যাম কোচ মাঠে নামান হ্যারি কেইনকে। যদিও তিনি গোলের দেখা পাননি। ফলে ৩-১ গোলের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টটেনহ্যাম।