চার গোল করেও ‘দুয়ো’ শুনলেন নেইমার!
ছিলেন না আগের ম্যাচে। দিজোঁর বিপক্ষের ম্যাচ দিয়েই এক ম্যাচ পর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার মাঠে নেমেছিলেন। ফিরেই প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে বল জড়িয়েছেন চার-চারবার। এর পরও ম্যাচ শেষে নিজ ক্লাবের সমর্থকদের ‘দুয়ো’ শুনতে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারকে!
ম্যাচে তখন চলছে শেষ মুহূর্তের খেলা। নেইমার তখন তুলে নিয়েছেন নিজের হ্যাটট্রিক। হঠাৎই একটা পেনাল্টি পেয়ে বসে পিএসজি। আর এক গোল করলেই পিএসজির হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন এডিসন কাভানি। তাই গ্যালারি থেকেও স্লোগান ভেসে আসছিল কাভানির নামেই।
কিন্তু এরপর যা হলো তা অবাক করে দিল সবাইকে! ১৫৬ গোল করা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে ছুঁয়ে দেওয়া কাভানিকে পেনাল্টিটা নেওয়ার সুযোগ আর দিলেন না নেইমার। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে নিজের গোলসংখ্যাকে চারে নিয়ে যেতে পারলেন বটে, তবে জয় করতে পারলেন না ভক্তদের মন।
ফরাসি ক্লাবটিতে এসেই এই কাভানির সঙ্গেই স্পট কিক নিয়ে নেইমারের ছিল দ্বন্দ্ব। পরে কোচ অবশ্য দায়িত্বটা দিয়েছিলেন নেইমারকেই। কাভানিও ধীরে ধীরে মেনে নিচ্ছিলেন নেইমারই দলের মাথা। দলের প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে মনটা একটু বড় করলেও করতে হয়তো পারতেন নেইমার। তাতে বরং তার মাহাত্ম্যই ফুটে উঠত।
ম্যাচে করেছেন চার গোল, জোগান দিয়েছেন আরো দুই গোলের। এর পরও পিএসজি গ্যালারি থেকে বাঁশি বাজিয়ে দর্শকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অসন্তুষ্ট নেইমারে। মাথা দোলাতে দোলাতে মাঠ থেকে বের হয়ে নেইমারও প্রকাশ করেছেন নিজের হতাশা।
যদিও পিএসজি অধিনায়ক এবং নেইমারেরই জাতীয় দল সতীর্থ থিয়াগো সিলভা বলেছেন, ‘নেইমার অসন্তুষ্ট নয় পিএসজি সমর্থকদের ওপর। মাঠ ছাড়ার সময় সে রেগে ছিল, এমনটা আমি মনে করছি না। সমর্থকদের একটা অংশ তাঁর বিপক্ষে থাকলেও দিনশেষে চূড়ান্ত ফল আর আমাদের জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। কাভানি তো রেকর্ডটা একসময় গড়বেই। রেকর্ডটা ভাঙতে এ বছর সে অনেক সময় পাবে।’