অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আবারও বিতর্ক ছড়াল ক্যারিবীয়রা
ভদ্রতাই দেখিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জিভেসন পিল্লায়। তবে তার সে ভদ্রতার তোয়াক্কাই করেনি ক্যারিবীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল। উল্টো ‘অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড’-এর অভিযোগ উঠিয়ে পিল্লায়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে সাজঘরে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ন্যক্কারজনক এক আউটের আবেদন করে আগের বিশ্বকাপের মতো আবারও আলোচনায় টিম উইন্ডিজ।
ম্যাচের বয়স তখন ১৭ ওভার। বলটা একদম রক্ষণাত্মকভাবেই খেলেছিলেন পিল্লায়। পিচের মধ্যে বল পড়লেও সেটা স্টাম্পের দিকে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। সৌজন্যতাবোধ থেকেই হয়তো বা পিল্লায় বলটা হাতে নিয়ে এগিয়ে দিতে চাইলেন ফিল্ডারদের দিকে। এরপর যা হলো তাতে পিল্লায় বোধহয় আর কখনো ভদ্রতা করতেই চাইবেন না!
আম্পায়ার আর ব্যাটসম্যান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্যারিবীয় অধিনায়ক এমানুয়েল স্টুয়ার্ট আবেদন জানালেন ‘অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ডের’! মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন, তাই শরণাপন্ন হয়েছিলেন টিভি আম্পায়ারের। কিছুক্ষণ দেখে টিভি আম্পায়ার পিল্লায়কে ‘আউট’ হিসেবে ঘোষণা করলেন।
এ ক্ষেত্রে আম্পায়ারেরও করার কিছুই ছিল না। বল ডেড হওয়ার আগে যদি ব্যাটসম্যান বল ধরে ফেলে হাত দিয়ে এবং তাতে যদি ফিল্ডিংপক্ষ মনে করে যে তাতে খেলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তবে আম্পায়ারকে আউটটা দিতেই হবে। কিন্তু পিল্লায়ের ক্ষেত্রে ঘটেনি এমন কিছুই।
অভদ্রতা বা বিতর্কের নজির ক্যারিবীয়রা রেখেছিল ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের আসরেও। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘মানকাড়িং’ করেও ড্যারেন স্যামিদের উত্তরসূরিরা জন্ম দিয়েছিলেন বড় বিতর্কের।
সেবার স্বদেশি ধারাভাষ্যকার এবং সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান বিশপকে পাশে পেলেও এবার কিন্তু সেই বিশপও কথা বলেছেন স্টুয়ার্টদের বিপক্ষেই। ‘এমনটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যাটসম্যান কোনো সুযোগ নেয়নি, সে অবৈধ কিছুও করছিল না। আম্পায়ার যেটা করা দরকার ছিল সেটাই করেছে। কিন্তু বলটা অবশ্যই স্টাম্পে যেত না। ফিল্ডিং দলকে সাহায্য করতেই সে অমনটা করেছিল। ফিল্ডিং দলের অধিনায়ক হলে আমি বিষয়টাকে আরো ভেবে দেখতাম। তবে গত বিশ্বকাপের ব্যাপারটা আলাদা ছিল।’
যুব বিশ্বকাপের মতো আসরগুলোতে যেখানে স্থান পাবে ভাতৃত্ববোধ বা সৌজন্যতার মতো মহৎ বিষয়গুলো। সেখানে পরপর দুই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের এমন আচরণ অবশ্যই ক্রিকেটের মূল চেতনার বাইরেই থেকে যায়। যদিও এমন কাণ্ডের পর উইন্ডিজদের লাভ হয়নি একদমই। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পিল্লায়দের কাছে ম্যাচটা হেরেছে ৭৬ রানে।