এক সময় বাংলাদেশ দলের ওপেনিংয়ের নির্ভরতার নাম ছিলেন সৌম্য সরকার। চমৎকার কিছু ইনিংস খেলে সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি। যে কারণে সে সময়কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের খুবই পছন্দের ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ধারাবাহিকতার অভাবে পরে আবার বেশ সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি। তাই আগামীকাল থেকে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তাঁর।

বাদ পড়লেও বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঠিকই দাঁড়িয়েছেন সৌম্য সরকারের পাশে। এই বাঁহাতি ওপেনারের মধ্যে নাকি কখনোই তিনি স্বার্থপরতা দেখেননি। বরং দলের জন্য খেলতে গিয়েই নাকি তিনি বাদ পড়েছেন।

দলের প্রয়োজনে অনেক সময় নির্দেশনা থাকত হাতখুলে খেলার। সে সময় তা করতে গিয়ে সৌম্যকে হয়তো অনেকসময় দ্রুত সাজঘরে ফিরে আসতে হয়েছে। যে কারণে তাঁকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এই তরুণ ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করে বলেন, ‘সৌম্যের ব্যাটিং প্রতিভা নিয়ে কারোই প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তা ছাড়া সে কখনোই স্বার্থপর ছিল না। সব সমই দলের প্রয়োজনে খেলেছে। হয়তো ভালো খেলতে পারেনি বলেই বাদ পড়েছে।’

বাংলাদেশ অধিনায়কের বিশ্বাস দ্রুতই দলে ফিরবেন সৌম্য, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে আবার সে দলে ফিরবে বলে আমার বিশ্বাস। তাঁর সেই সামর্থ্য আছে।’  

২০১৫ সালে দারুণ সময় পার করলেও পরবর্তী সময়ে সে ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি সৌম্য। গত দুটি বছর মাঝেমাঝে তাঁর ব্যাট জ্বলে উঠেছে ঠিক, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তিনি ছিলেন নিষ্প্রভ। এর জন্য কড়া সমালোচনাও সইতে হয়েছে এই বাঁহাতি ওপেনারকে।

জনশ্রুতি আছে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাকি খুবই পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন সৌম্য। যে কারণে যতই সমালোচনা হোক তিনি তাঁকে আগলে রাখতেন। এখন আর হাথুরু নেই, সৌম্যও বাদ পড়লেন।    

অবশ্য সৌম্যকে বাদ দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, ওর প্রতিভা নিয়ে কারোই প্রশ্ন নেই। তবে সে ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই, এ জন্য আমরা একটু বিরতি দিয়েছি। সৌম্য আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। সে আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা আশা করি সে আবার ফর্মে ফিরবে।’