‘নো বল’ বিজ্ঞাপনে মন খারাপ বুমরাহর
বুমেরাং হয়ে গেল জয়পুর পুলিশের বিজ্ঞাপন। মজা করতে গিয়ে উল্টো এখন সাফাই গাইতে হচ্ছে ভারতের এই রাজ্যপুলিশ বিভাগটিকে। জয়পুরের পুলিশ যাকে কেন্দ্র করে করে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করছিল সেই বুমরাহই দারুণ চটেছেন সেটি দেখে। টুইটারে জয়পুর পুলিশকে একহাত নিয়েছেন এই পেসার।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা বুমরাহর সেই নো বলটি নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে ভারতের জয়পুর রাজ্যের পুলিশ। নিরাপদে সড়ক পার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনটিতে দেখানো হয়েছে, একটি জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে দুটি গাড়ি দাঁড়িয়ে। তাদের লাইন পেরিয়ে আসতে বারণ করা হচ্ছে। বুমরাহর সেই নো বলের ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, এই লাইন পার হবেন না। আপনি জানেন এর ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে!
জয়পুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জীব আগারওয়াল এটাকে ব্যতিক্রমী একটি বিজ্ঞাপন মনে করছেন। পুলিশের এই কর্তাব্যক্তি বলেন, ‘তরুণরা সাধারণত ট্রাফিক আইন খুব একটা মানে না। আমরা ক্রিকেটের এই বিষয়টিকে গ্রহণ করেছি যাতে করে তরুণটা ট্রাফিক আইন মানতে আগ্রহী হয়। তারা যেন বুঝতে পারে লাইন পেরোলেই তাদের এর কড়া মূল্য দিতে হবে।’
তবে সেই নো বল করে এমনিতেই এখনো জ্বলছেন বুমরাহ। তার ওপর নিজ দেশেই সেটিকে নিয়ে এমন বিজ্ঞাপন হলে বুমরাহর তো জ্বালাটা বাড়ারই কথা। হলো তেমনটাই। টুইটারে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন এই পেসার। টুইট বার্তায় বুমরাহ বলেছেন, ‘ভালোই দেখাল জয়পুর পুলিশ। তারা বোঝাল, দেশের হয়ে সেরাটা দেওয়ার পরও আপনি কতটা সম্মান পাচ্ছেন।’ এরপর আরেকটি টুইটে বুমরাহ বলেন, ‘সমস্যা নেই, পুলিশ ভুল করলেও সেটি নিয়ে মজা করব না। আমি জানি, মানুষই ভুল করে।’ এরপর অবশ্য বিষয়টি মজার থাকেনি। টুইটের জবাবে জয়পুর পুলিশ বলেছে, ‘বুমরাহ, আপনাকে অপমান করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা কেবল ট্রাফিক আইন নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটটি নিয়ে বেশ সমালোচনা হতে থাকে। বুমরাহর ভক্তরা একের পর এক টুইট করতে থাকে এর বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত টুইট বার্তাটি মুছে ফেলতে বাধ্য হয় জয়পুর পুলিশ।
১৮ জুন ওভালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিং করছিল পাকিস্তান। চতুর্থ ওভারে বুমরাহর বলে ধোনির হাতে খোঁচা দিয়ে আউট হয়ে যান ফখর জামান।
তখনই আম্পায়ার দেখান বুমরাহ ‘নো বল’ করেছেন। জামানের রান তখন ৩! এরপর পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১০৬ বলে ১১৪ রান করেন ফখর জামান। সেই ম্যাচে ১৮০ রানে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে পাকিস্তান। আর ভারতীয়দের কাছে ভিলেন হয়ে ধরা দেন জাসপ্রিত বুমরাহ।