ইতিহাস গড়েই বিদায় মিসবাহ-ইউনিসের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খানকে। একজন ভয়াবহ দুঃসময়ে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে পাকিস্তানকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হারানো গৌরব। আরেকজন দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসার প্রতীক। এমন দুই খেলোয়াড়ের বিদায়টাও হলো স্বপ্নের মতো। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে বিদায় নিলেন মিসবাহ-ইউনিস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই টেস্ট সিরিজেই দারুণ দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মিসবাহ ও ইউনিস। মিসবাহ ছুঁয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক। আর ইউনিস পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন টেস্টে ১০ হাজার রান। তবে বিদায়ী ম্যাচটা জিতে বিদায়বেলাটা আরো রাঙিয়ে নিয়েছেন মিসবাহ-ইউনিস। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ শেষে ১-১ ব্যবধানের সমতার পর সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে।
ইতিহাস গড়ে বিদায় নিতে পারার গৌরবটির জন্য মিসবাহ-ইউনিস অবশ্য ধন্যবাদ দিতে পারেন ইয়াসির শাহকে। পুরো টেস্ট সিরিজেই দারুণ বোলিং করেছেন এই লেগস্পিনার। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ইয়াসিরের।
৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়েছিল একটি উইকেট। পঞ্চম দিনে বড় কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেননি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে প্রায় পুরোটা সময় একাই লড়াই করে গেছেন রোস্টন চেস। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ব্যাটসম্যানরা। হাসান আলী ও ইয়াসির শাহর দারুণ বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে তাদের।
প্রথম ইনিংসে তিন উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। তিনটি উইকেট গেছে হাসান আলীর ঝুলিতে। তিন ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াসির।