রোনালদোর নামে বিমানবন্দর নিয়ে সমালোচনা
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নামে বিমানবন্দর নিয়ে সমালোচনা চলছেই। সমালোচকদের যুক্তিটাও বেশ অকাট্য, পর্তুগালের লিসবনে দেশটির সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান, সাবেক রাজনীতিবিদ হাম্বার্টো ডেলগাডো ও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ বেস্টের নামানুসারে বেলফাস্টে একটি বিমানবন্দর রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের আর কোনো দেশে ক্রীড়াবিদের নামে বিমানবন্দর নেই। তাহলে রোনালদোর নামে বিমানবন্দর কেন?
রোনালদোর সমালোচকরা মনে করেন, ফুটবলে রোনালদোর এমন বিশেষ কোনো অবদান নেই, যার কারণে তাঁর নামে বিমানবন্দর হতে পারে। ভক্তরা অবশ্য রোনালদোর হয়ে জবাব দিয়েছেন। রোনালদোর নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ইউরো কাপের শিরোপা জেতে পর্তুগাল। এতে সমালোচকরা খুব বেশি খুশি হয়েছেন, সেটা অবশ্য বলা যাচ্ছে না।
বিমানবন্দরের বাইরে লাউঞ্জের সামনে রোনালদোর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। সেটি নিয়েও চলছে দারুণ আলোচনা-সমালোচনা। কারণ, রোনালদোর চেহারার সঙ্গে মূর্তির চেহারার কোনো মিল নেই। অনেকে রোনালদোর মূর্তির সঙ্গে ১৯৫৭ সালের ‘সাইকোপ্যাথ’ সিনেমার চরিত্র কিংবা সাবেক ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন ডেভিড কলথার্ডের সঙ্গে বেশ মিল পাচ্ছেন।
এর আগে গতকাল রোনালদোর জন্মস্থান পর্তুগালের মাদেইরার বিমানবন্দরের নাম বদলিয়ে এয়ারপোর্টো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রাখা হয়। পর্তুগাল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পরই রোনালদোর নামে মাদেইরা বিমানবন্দরের নামকরণের ঘোষণা দেওয়া হয়। নামকরণের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোনালদো। বান্ধবী জিওর্জিনা, মা আভেইরো এবং ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রও এই সময় রোনালদোর সঙ্গে ছিলেন।