সেঞ্চুরির পরও লিটনের আক্ষেপ, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে। মাঝে কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর। অবশেষে সিলেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস। আজ রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তিন অঙ্কের ঘরে যেতে ডানহাতি ওপেনারের লেগেছে ৯৫ বল, আর ১০টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় ইনিংস সাজান।
গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৯ বলে ৯৪ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। বল ছিল না বলে সেবার সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ঘরের মাঠে সুযোগ হাতছাড়া করেননি, তুলে নিলেন নিজের দ্বিতীয় শতক।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০ ছাড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেঞ্চুরিময় ইনিংস টেনে লম্বা করতে পারেননি লিটন। ব্যক্তিগত ১২৬ রানে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে লিটনের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস এটি। এর আগে এশিয়া কাপে করেছিলেন ১২১ রান।
এদিনের ম্যাচটিতে সাবধানী শুরুর পর ওপেনার তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর হারিয়েছে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকেও। তবে লিটন দাসের ব্যাটে তামিম-শান্তকে হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ছোটেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বল থেকে দেখেশুনে খেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু থিতু হয়েও টিকতে পারেননি। ১৩তম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর ২৯ রানে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।
তবে উইকেট হারালেও রানের গতি বাড়ান লিটন। তামিম-লিটনের ব্যাটে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ৬৩ বলে উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫০ রান। এরপরই ফিরে যান তামিম।
ম্যাচটিতে চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর একাদশে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গত বছর ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন। সাইফউদ্দিন ছাড়াও একাদশে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৮ এশিয়া কাপের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
এই সিরিজের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন দুই তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেন। কিন্তু দুজনের একজনকেও প্রথম ম্যাচের একাদশে রাখা হয়নি। অভিষেকের জন্য আরো অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের।
এ ছাড়া এই সিরিজ দিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। দেশের হয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। গত বছরের ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর দেখা যায়নি তাঁকে। এ ছাড়া দেশের মাটিতে ১৫ মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। সাত মাসের লম্বা বিরতি দিয়ে অধিনায়কের ফেরাটা স্বস্তির বটে। কিন্তু নানা বিতর্কে সেটা অনেকটা অস্বস্তির হয়েই দাঁড়িয়েছে। সব বিতর্ক পেছনে ফেলে ফের দেশকে নেতৃত্ব দিতে মাঠে নেমেছেন তিনি।