শহীদের কারণেই সতীর্থকে পেটান শাহাদাত
গত রোববার জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানির গায়ে হাত তোলেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। খুলনায় ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষির সঙ্গে লাথিও দিয়েছিলেন তিনি।
এর জন্য বড় রকমের নিষেধাজ্ঞা পান শাহাদাত। পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। পাশপাশি তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। আর সেই ঘটনার সূত্রপাত নাকি আরেক পেসার মোহাম্মদ শহীদকে দিয়ে। যে কারণে শহীদেরও ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। তিনি নাকি পেতে পারেন আরো বড় শাস্তি।
অবশ্য বল শাইন করা নিয়ে আরাফাত সানির সঙ্গে কথা কাটাকাটির শুরুটা করেছিলেন শহীদ। তিনিই শুরুতে এই অফ স্পিনারকে ধাক্কা দেন। এরপর আরাফাতের উপর চড়াও হন শাহাদাত। শুরু করেন চড়-থাপ্পড়। আম্পায়ার এসে সরিয়ে দেওয়ার পরও শাহাদাত আবার গিয়ে মারতে থাকেন আরাফাতকে।
পরে সতীর্থরা গিয়ে সানিকে সরিয়ে না নিলে ঘটনা আরো বড় হতে পারত। আম্পায়ার পরে শাহাদাতকে মাঠ থেকে বের করে দেন। সে ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে। তাই ঢাকা ম্যাচে খেলছে ১০ জনের দল নিয়ে।
বেশ কিছুদিন আগে গৃহকর্মী নির্যাতনের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাহাদাত। যে কারণে তাঁকে জেলহাজতেও যেতে হয়েছিল। সেই কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। এবার আরো বড় শাস্তি পেলেন তিনি।
শহীদেরও রয়েছে শৃঙ্গলাভঙ্গের অতীত রেকর্ড। দুই বছর আগে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিয়ে বিসিবির কাছেও গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।