রুটের চমৎকার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জয়
লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খুব বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য ২৭৭ রান চাই স্বাগতিকদের। এই লক্ষ্য তাড়ায় শেষ পর্যন্ত দারুণ জয় পেয়েছে ইংলিশরা। পাঁচ উইকেটের দারুণ জয়ে ১-০তে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
জো রুটের চমৎকার সেঞ্চুরি ও বেন স্টোকসের হাফসেঞ্চুরিতে এই জয় পায় ইংল্যান্ড। ১৭০ বলে ১২ চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। আর স্টোকস ৫৪ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলে দলের জয়ে মূল্যবান অবদান রাখেন। কাইল জেমিসন চার উইকেট নিয়েও পারেননি নিউজিল্যান্ডের হার ঠেকাতে।
এর আগে ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরি ও টম ব্লান্ডেলের বড় ইনিংসের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। মিচেল ১০৮ ও ব্লান্ডেল ৯৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের এটি রেকর্ড পঞ্চম উইকেট জুটি। দুজনে মিলে করেন ১৯৫ রান। ১৯৯৪ সালে লর্ডসে মার্টিন ক্রো এবং শেন থমসনের করা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন তারা।
গত বছর ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের পর মিচেল এদিন দারুণ একটি ইনিংস খেলেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ১৩২ ও ২৮৫ (মিচেল ১০৮, ব্লান্ডেল ৯৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ০, জেমিসন ০, সাউদি ২১, এজাজ ৪, বোল্ট ৪*; অ্যান্ডারসন ২১-৭-৫৭-২, ব্রড ২৬-৭-৭৬-৩, পটস ২০-৩-৫৫-৩, স্টোকস ৮-১-৪৩-০, পার্কিনসন ১৫.৩-০-৪৭-১, রুট ১-০-২-০)।
ইংল্যান্ড : ১৪১ ও ১৭৯/৫ (লিস ২০, ক্রলি ৯, পোপ ১০, রুট ১১৫, বেয়ারস্টো ১৬, স্টোকস ৫৪, ফোকস ৩২*; সাউদি ২৩.৫-৫-৮৭-০, বোল্ট ২৪-৩-৭৩-১, জেমিসন ২৫-৪-৭৯-৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩.৫-১-৩-০, মিচেল ০.১-০-০-০, এজাজ ২-০-২২-০)।
ফল : ইংল্যান্ড পাঁচ উইকেটে জয়ী।