ম্যারাডোনার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার
স্মৃতি কখনও সুখের হয়। কখনও আবার দুঃখ দেয়। ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার জীবনও তেমনি সুখ-দুঃখের মিশ্রণ। তাঁর জীবনটা সরল পথে ছিল না। কখনও ফুটবল মাঠে গোল করে ভক্তদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন। কখনও আবার বিতর্কিত কাজ করে মানুষের হাসির খোরাক হয়েছেন। তবে, নানা বিতর্কের মধ্যেও ফুটবলপ্রেমীদের কাছে বিশেষ নাম ম্যারাডোনা।
গত বছর এই দিনে পুরো ফুটবল দুনিয়াকে স্তব্ধ করে চিরবিদায় নিয়েছেন ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনা। সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম তারকাকে ছাড়া এক বছর পার করল ফুটবল ভক্তরা।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উত্থান-পতনে ভরা জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন মহাতারকার রোমাঞ্চকর ক্যারিয়ারের ৭০টি বিষয় তুলে ধরেছে ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকম। এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক :
১. আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা।
২. আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন তিনি।
৩. দেশের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ম্যারোডোনা।
৪. বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার আগে ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্সের লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে অবদান রাখেন ম্যারাডোনা। ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে পাড়ি জমান নাপোলিতে। ইতালীয় ক্লাবটির হয়ে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত জেতেন দুটি সেরি আ শিরোপা।
৫. বিশ্বকাপে কোনো দলের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ম্যারাডোনার। আর্জেন্টিনাকে ১৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
৬. বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
৭. আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর মাত্র ১৫ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় তাঁর।
৮. জাপানে হওয়া ১৯৭৯ সালের যুব বিশ্বকাপে বাজিমাত করা আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন তিনি।
৯. বুয়েনস আইরেসের বোমবোনেরা স্টেডিয়ামে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১৬ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার।
১০. ম্যারাডোনার বাহুতে আছে চে গুয়েভারা এবং বাঁ-পায়ে ছিল ফিদেল কাস্ত্রোর ট্যাটু।
১১. বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড মার্যাডোনার। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে মোট ৫৩ বার ফাউল করা হয়েছিল ম্যারাডোনাকে।
১২. বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও ম্যারাডোনার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে ২৩ বার ফাউলের শিকার হন তিনি।
১৩. ম্যারাডোনার অধিনায়কত্বে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা।
১৪. ১৯৮৬ সালের আসরে দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে গোল্ডেন বল জেতেন ম্যারাডোনা।
১৫. ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করেন ম্যারাডোনা। ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে যে গোলটি এক নামে পরিচিত।
১৬. ১৯৮৭ সালে নাপোলির হয়ে সেরি আর শিরোপা জেতেন। ১৯৯০ সালে করেন একই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি। জিতেন ১৯৮৯ সালে উয়েফা কাপও।
১৭. ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন ম্যারাডোনা। গ্রিসের বিপক্ষে জালের দেখা পান। এরপরই ডোপ টেস্ট পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় ছিটকে যেতে হয় তাঁকে।
১৮. বুয়েনস আইরেসে ১৯৮৯ সালের ৭ নভেম্বর ক্লাওদিও ভিয়াফানকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা। ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯. ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার একটি টেলিভিশনে টকশো শুরু করেন ম্যারাডোনা। তাঁর প্রথম শো-তে অতিথি ছিলেন পেলে।
২০. ২০০৮ সালের অক্টোবরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন ম্যারাডোনা।
২১. ম্যারাডোনার অধীনে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলে হারে। যা সবচেয়ে বাজের হারের আগের রেকর্ডকে স্পর্শ করে। ম্যাচটি নিয়ে বাজে মন্তব্য করে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি।
২২. ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার। হ্যাম্পডেন পার্কের সেই ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।
২৩. ২০১০ সালের ২২ জুনে বিশ্বকাপের বল ‘জুবিলানি’র সমালোচনা করতে গিয়ে ফিফাকে নিয়ে সমালোচনা করেন ম্যারাডোনা।
২৪. ২০১০ সালের বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের সংবাদ সম্মেলনের সময় ম্যারাডোনা (নিরাপত্তা দেয়াল পেরিয়ে) লাফিয়ে এসে নাপোলির সাবেক সতীর্থ সালভাতোরে বাগনিকে জড়িয়ে ধরেন।
২৫. ২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনা বিদায় নেওয়ার পর সমালোচনার মুখে থাকা লিওনেল মেসিকে আগলে রাখেন ম্যারাডোনা।
২৬. সাবেক সতীর্থ হোসে ভালদানো ২০০৬ সালে ম্যারাডোনা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সে এমন একজন, যাকে অনেক মানুষ অনুকরণ করতে চায়, বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, যাকে ভালোবাসে, ঘৃণা করে, যে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়।’
২৭. আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ফিফার কাছে নাম্বার ১০ জার্সি অবসরে পাঠানোর (তুলে রাখার) অনুরোধ করেছিল, ফিফা তাতে অস্বীকৃতি জানায়।
২৮. আর্জেন্টিনোর জুনিয়র্স নিজেদের স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে ইস্তাদিও দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা।
২৯. ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘এটা ছিল যেন আমরা একটা দেশকে হারিয়েছি, যেটা ফুটবলের চেয়েও বেশি কিছু।’
৩০. ১৯৯৬ সালে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমি ছিলাম, আমি আছি এবং আমি সবসময় ড্রাগে আসক্তই থাকব। ড্রাগে আসক্ত মানুষকে প্রতিদিনই এর সঙ্গে লড়াই করতে হয়।’
৩১. ফিফা ২০০০ সালে সিদ্ধান্ত নেয় নতুন শতাব্দীর সেরা ফুটবলার ঘোষণা করার। শতাব্দীর সেরা হিসেবে পেলে ও ম্যারাডোনাকে যৌথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
৩২. ১৯৯০ সালে সেরা একাদশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আর্জেন্টিনার কোচ কার্লোস বিলার্দো বিখ্যাত একটি উক্তি করেছিলেন—‘ম্যারাডোনা এবং বাকি ১০ জন।’
৩৩. ২০০৫ সালে ম্যারাডোনাকে বোকা জুনিয়র্সের সহসভাপতি করা হয়। এক বছর পর পদত্যাগ করেন তিনি।
৩৪. সার্বিয়ার চলচিত্র নির্মাতা এমির কুসতুরিচা ম্যারাডোনাকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। সেটি ২০০৮ সালের কান চলচিত্র উৎসবে দেখানো হয়।
৩৫. ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ স্যার ববি রবসন বলেছিলেন, ‘ম্যারাডোনাকে নিয়ে আর্সেনাল বিশ্বকাপও জিততে পারে।’
৩৬. ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার ফিল নেল ১৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে ১৯৭৮ সালে দেখে বলেছিলেন, ‘এই ছেলে অবিশ্বাস্য, আমার দেখা সবার সেরা।’
৩৭. ১৯৯৮ সালে বুয়েনস আইরেসে ভক্তরা ‘চার্চ অব ম্যারাডোনা’ শুরু করেছিল।
৩৮. ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের চার মিনিট পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো সেই দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা।
৩৯. ফরাসি শো ‘লেস গুইগঁলস দে এল ইনফো’-তে ম্যারাডোনা সদৃশ একটি পুতুল আছে।
৪০. কিউবার নেতা রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ম্যারাডোনার।
৪১. ১৯৯১ সালে কোকেন নেওয়ার কারণে ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় সেই বছর ম্যারাডোনাকে নাপোলি ছাড়তে হয়।
৪২. ২০০৬ সালের জার্মানির বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেতে অস্বীকৃতি জানান ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘ওই পেলে চারপাশে ঘুরঘুর করছে, সেটা দেখার জন্য আমি সেখানে নেই।’
৪৩. কথার যুদ্ধ শুরু হলে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ব্যর্থ হওয়া ম্যারাডোনাকে খোঁচা মারেন পেলে।
৪৪. ইতালি কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে জানায় ম্যারাডোনার কাছে তাদের পাওনা তিন কোটি ৭০ লাখ ইউরো। আসল দেনার অর্ধেকেরও বেশি সুদ মিলিয়ে অঙ্কটা ওই পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
৪৫. ঘরোয়া ক্লাব প্রতিযোগিতায় ম্যাচপ্রতি ম্যারাডোনার গোল গড় শূন্য দশমিক ৫২৬।
৪৬. আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ম্যারাডোনা পঞ্চম। তাঁর আগে আছেন লিওনেল মেসি, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, সার্জিও আগুয়েরো ও হার্নান ক্রেসপো।
৪৭. প্রতিবেশী দেশ ইংল্যান্ডকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে হারানোয় স্কটিশ ফ্যান গ্রুপ ‘দি টারটান আর্মি’ ম্যারাডোনার প্রশংসা করে।
৪৮. ১৯৯৮ বিশ্বকাপ নিয়ে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘সব খেলোয়াড়ের পা সোজা। তারা রোবোকপের মতো। মাসাজ করার চেয়ে তাদের আরো বেশি লুব্রিকেন্ট (তেল) দরকার।’
৪৯. ২০০৮ সালে দি আইআইএমএসএএম ম্যারাডোনাকে তাদের শুভেচ্ছাদূত করেছিল।
৫০. ১৯৯৭ সালে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লেখা এক বইয়ে আর্জেন্টিনার মনস্তত্ববিদ ও লেখক গুস্তাভো বেরনস্তেইন বলেন, ‘উদাহরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ম্যারাডোনা আমাদের সর্বোচ্চ সীমা।’
৫১. ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ট্রান্সফার ফির রেকর্ড দুবার ভেঙেছেন ম্যারাডোনা।
৫২. ফ্রাঙ্কো বারেসি ও পাওলো মালদিনির চোখে ম্যারাডোনা সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ।
৫৩. ম্যারাডোনা ও মেসিই কেবল ফিফা বিশ্বকাপ ও ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন।
৫৪. ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট ম্যারাডোনা তিউনিশিয়ান রেফারি আলি বিন নাসেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে নিজের সাক্ষরিত আর্জেন্টিনার জার্সি উপহার দেন।
৫৫. ২০০০ সালে ম্যারাডোনা প্রকাশ করেন আত্মজীবনী ‘আই অ্যাম দ্য দিয়েগো।’ এই বইয়ের সত্ব তিনি কিউবার মানুষকে দান করেন।
৫৬. আর্জেন্টিনা ভিত্তিক কোনেক্স ফাউন্ডেশন ১৯৯০ সালে ম্যারাডোনাকে ডায়মন্ড কোনেক্স পুরস্কার দেয়।
৫৭. অনুপ্রেবশকারী ফটোগ্রাফারের গাড়ির কাচ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।
৫৮. বব উইলসন বলেছিলেন, ‘সে একজন ত্রুটিযুক্ত প্রতিভা, যে এখন হয়েছে নষ্ট প্রতিভা।’
৫৯. রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে ড্রিবলিং করার ম্যাচে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের তালি পেয়েছিলেন ম্যারাডোনা।
৬০. ব্রুনো জিওর্দিনো ও কারেকার সঙ্গে জুটি গড়ে নাপোলিকে ১৯৮৯-৯০ সালের সেরি আ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।
৬১. মাত্র ১৭ বছর বয়স বলে ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি ম্যারাডোনা।
৬২. ২০১৯ সালে ম্যারাডোনা নামের বায়োপিক মুক্তি পেয়েছিল।
৬৩. ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে কর্তৃপক্ষ আজটেকা স্টেডিয়ামে তার ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরির’ মূর্তি প্রবেশদ্বারে স্থাপন করেছিল।
৬৪. আইনত ম্যারাডোনা দুই সন্তানের জনক। পিতৃত্ব নিয়ে একবার তিনি বলেছিলেন, ‘আমার আইনসিদ্ধ সন্তান দালমা ও জিয়ান্নিনা। বাকিগুলো টাকা আর ভুলের ফল।’
৬৫. ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ম্যারাডোনা ইরানের মানুষের সমর্থনে নিজের সাক্ষরিত জার্সি উপহার দেন।
৬৬. ২০১৩ সালের এপ্রিলে ম্যারাডোনা হুগো শাভেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যিনি পরে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।
৬৭. চলচিত্র পরিচালক কুসতুরিকা একবার ম্যারাডোনা নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত, সে যদি ফুটবলার না হতো, তাহলে বিপ্লবী হতো।’
৬৮. ফিফা ’১৮ এবং প্রো ইভোল্যুশন সকার ২০১৮-তে ম্যারাডোনাকে কিংবদন্তি খেলোয়াড় হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
৬৯. আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বৈরথ সত্ত্বেও ব্রাজিল বংশোদ্ভূত দিয়েগো কস্তার নামে ‘দিয়েগো’ যোগ করা হয় ম্যারাডোনাকে সম্মান জানাতে।
৭০. ২০১০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে শাকিরার গাওয়া ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানের মিউজিক ভিডিওতে ম্যারাডোনাকে দেখানো হয়।