ম্যাচের গ্যালারিতে একজন ‘দর্শক’!
করোনার আতঙ্কে বিশ্বের বহু দেশে ক্রিকেট, ফুটবলসহ যে কোনো ম্যাচ হচ্ছে ফাঁকা স্টেডিয়ামে। একসঙ্গে অনেক দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ খেলোয়াড়রা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দর্শকশূন্য গ্যালারিতে হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথম ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হল না। একজন গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখলেন।
স্টিফেন হারল্ড গাস্কোইগ্নে মাঠে বসে খেলা দেখলেন। ‘ইয়াব্বা’ নামে যিনি পরিচিত। জীবিত অবস্থায় অবশ্য খেলা দেখলেন না তিনি। তাঁর মূর্তি রাখা ছিল গ্যালারিতে।
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইয়াব্বা মারা যান। অস্ট্রেলিয়ার সবধরনের খেলাধুলার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের হিল এরিয়াতে বসে সব ম্যাচ দেখতেন তিনি। সেই সময় ক্রিকেট খেলা হত অনেকটা টেনিসের মতো। দর্শকরা প্রায় চুপচাপ থাকতেন। কিন্তু ইয়াব্বা চেঁচিয়ে ক্রিকেটারদের বুদ্ধিদীপ্ত স্লেজিং করতেন। কখনো কখনো চেঁচিয়ে প্রশ্নও করতেন ক্রিকেটারদের। এমন কাণ্ড ঘটাতেন বলে ক্রিকেটাররাও খুব সহজে তাঁকে চিনে ফেলেছিলেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তাই আজও অমর হয়ে রয়েছেন ইয়াব্বা।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সিডনির বিখ্যাত হিল এরিয়াতে একটি চেয়ারে বসানো হয় ইয়াব্বার একটি মূর্তি। একনিষ্ঠ সমর্থকের সম্মানে স্ট্যান্ডের নাম রাখা হয় ‘ইয়াব্বাস হিল’। ২০০৭ সালে ইয়াব্বাস হিল ও ডগ ওয়াল্টার্স স্ট্যান্ড ভেঙে দুটিকে একসঙ্গে করে বানানো হয় ভিক্টর ট্রাম্পার স্ট্যান্ড। সেই সময় কিছুদিনের জন্য এসসিজি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ইয়াব্বার স্মৃতি।