বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যেভাবে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার সেসব সুবিধা দিতে রাজি হয়নি। তাই বাংলাদেশ ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রস্তাবিত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কা সরকারের জারি করা নিয়মের ফলে এই সিরিজের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টেস্ট সিরিজটি মূলত জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সেটি পিছিয়ে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে বিসিবি চেয়েছিল সফরে গিয়ে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বিসিবির এই প্রস্তাব পাঠালেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ পরিকল্পনায় ছিল কোয়ারেন্টিন চলাকালীন নিজেদের প্রস্তুতি সেরে নেওয়া। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ দলকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। জাতীয় দল ও হাই পারফরমেন্সের (এইচপি) ৬০ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে অফিশিয়ালদের পাঁচ তারাকা হোটেলে ১৪ দিন রাখা বিসিবির জন্য যথেষ্ট কঠিন।
জাতীয় দল ও এইচপি দল নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্রীলঙ্কায় যাবে। সিরিজের আগে প্রথম দিকে দুই দলের যাবতীয় খরচ বিসিবিকেই বহন করতে হবে।
অবশ্য বিষয়টি সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ থাকলেও দুই বোর্ড সাত দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে একমত হয়েছে। আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন অনুশীলন করার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু এটি করা যাচ্ছে না। আমরা আমাদের সব কিছু জানিয়েছি। তবে এটি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডে নিয়ন্ত্রণে নেই। তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখছে। তারা এই সফরের সদস্য সংখ্যা কমানোর কথা বলেছে। এটিও একটি বিষয়। কিন্তু আমরা সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর তথ্য দিয়েছি।’
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশকে কোনো দল দিতে পারছে না। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও এইচপি দল নিজেদের মধ্যে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে।
তবে সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তা মানতে রাজি নন দুর্জয়। বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উদ্বেগের কারণ নেই। আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে চাচ্ছি। ছয়-সাত মাস পর টেস্ট ম্যাচ হবে, যদি আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে না পারি, তবে তা খুব কঠিন হবে। উভয় বোর্ড আন্তরিক যাতে আমরা মাঠে নামতে পারি।’