ফুটবলের উন্নয়নে সালাউদ্দিনের লম্বা ইশতেহার
আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। টানা তিনবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া কাজী সালাউদ্দিন এবারও একই পদে ভোটের লড়াইয়ে। নির্বাচনে জিতলে দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কী অবদান রাখবেন, আজ রোববার রাজধানীর এক হোটেলে সেই ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। সেইসঙ্গে তুলে ধরেন গত ১২ বছরে নিজের সাফল্যের চিত্র।
জাতীয় দল নিয়ে ছয়টি, ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে নয়টি, নারী ফুটবল নিয়ে চারটি, উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সাতটি ও টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান কাজী সালাউদ্দিন।
তবে ইশতেহার নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ হন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপে খেলানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এমন অসম্ভব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তো করতে পারেননি, বরং সমালোচিত হয়েছেন। র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো জায়গায় নেই।
এ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘দেখুন প্রতিটি মানুষেরই কিছু লক্ষ্য থাকে। এখানে আপনাদের একটা ভুল বুঝাবুঝি আছে। বিশ্বকাপ খেলব বলিনি। কোয়ালিফাই করার চেষ্টা করব বলেছি। আমাকে তো টার্গেট নিয়ে এগুতে হবে।'
সালাউদ্দিনের এই তিন মেয়াদে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চরম অবনতি হয় বাংলাদেশের। ১৯৬ স্থানেও নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা যখন এসেছি, তখন ফিফা র্যাঙ্কিং ১৮০ ছিল; এখন ১৮৭। র্যাঙ্কিংয়ের অনেক কিছুর ব্যাপার আছে। বিশ্বকাপ জিতেও ফ্রান্স প্রথম অবস্থানে নেই। বেলজিয়াম আছে এক নম্বরে। আসলে এখানে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তিন বছর টানা ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারিনি। তাই গ্রাফটা পেছনে গেছে। সামনে চেষ্টা করব কীভাবে ১৫০-এর কাছাকাছি আনা যায়।’
তবে এর জন্য সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করেন সালাউদ্দিন, ‘আপনারা সব সময় পুরোনো খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের দিকে ফোকাস দেন। যত টক শো আছে, শুধু সাবেকদের ডাকেন। কিন্তু আমাদের নতুন ছেলেদের ডাকেন না। আপনারা ২৫ বছর আগের খেলোয়াড়দের সারাক্ষণ ফোকাসে রাখেন, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের রাখেন না। আমি আশা করব, আপনারা এখনকার ফুটবলারদের সাপোর্ট করবেন।’
তবে সংবাদমাধ্যমের ফোকাসের চেয়ে খেলা দিয়ে সামনে যাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিনা, এমন প্রশ্ন আসলে বিষয়টি এড়িয়ে যান সালাউদ্দিন। গত ১২ বছরে তিনি যা করতে পারেননি, এখন সামনের দিকে নিজের ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।