প্রতিযোগীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করছে অলিম্পিক কমিটি
নতুন সূচিতে টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক দেশ জাপান। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সেটা যথাসময়ে মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এই শঙ্কা কাটাতে প্রতিযোগীদের করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চায় অলিম্পিক কমিটি।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রতিযোগীদের ভ্যাকসিনের আওয়াতায় আনতে ফাইজার ও তাঁদের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে চুক্তি করেছে অলিম্পিক কমিটি।
করোনার কারণে গত বছর পিছিয়ে যায় অলিম্পিক। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুলাই শুরু হবে টোকিও অলিম্পিকের এবারের আসর। যা চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ২৪ আগস্ট মাঠে গড়াবে প্যারালিম্পিক, চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু, করোনা তীব্র সংক্রমণের জেরে ফের অলিম্পিক নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অলিম্পিক কমিটির পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা।
অলিম্পিক কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী সব অ্যাথলিটকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে। আর এই ভ্যাকসিন দেবে ফাইজার ও তাঁদের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক। এই ভ্যাকসিন পাবেন প্যারা অলিম্পিকেরও সব প্রতিযোগীরাও। শুধুমাত্র প্রতিযোগীরাই নন, সাপোর্টিং স্টাফ থেকে দলের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন সদস্যকেও এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের সঙ্গে চুক্তি সই করার পর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার প্রধান টমাস বাখ বলেন, ‘অনেক ক্রীড়াবিদই রয়েছেন, যাঁরা দেশের রোলমডেল। তাঁরা ভ্যাকসিন নিলে দেশের মানুষের কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছবে।’
এবারের অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকদের জাপানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। করোনার ঝুঁকি কমাতে টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজনের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকেরা। জাপানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
স্কাই নিউজের খবর অনুযায়ী, বিদেশি সমর্থকেরা যাঁরা অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের টিকেট কিনেছেন তাঁদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তবে এর জন্য আবেদন করতে হবে।