নেতার বদল নিয়ে ভাবছেন না শান্ত
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে শেষবারের মতো দেশকে নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কত্ব থেকে মাশরাফির বিদায়ী সিরিজেই জাতীয় দলে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু নেতৃত্বের বদল নিয়ে ভাবছেন না তরুণ এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তাঁর মতে, অধিনায়ক যেই হোক তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবেন তাঁরা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে দলে ফিরেছেন শান্ত। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নিয়ে সন্তুষ্ট নিয়ে শান্ত জানালেন, নেতৃত্বে কে থাকবেন সেটা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তাঁর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে নিয়ে বাড়তি আগ্রহের কারণ হলো মাশরাফি। কদিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের অধিনায়ক হিসেবে শেষ সিরিজ। পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক তাঁরা ঠিক করে ফেলবেন আগামী ৮ মার্চের বোর্ড সভায়।
সেক্ষেত্রে আগ্রহের কেন্দ্রে আছেন মাশরাফি। তবে দর্শক বা সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ থাকলেও তরুণ ওপেনার শান্তর এটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘এটা নিয়ে তো তেমন কিছু চিন্তা করার কারণ দেখছি না। কারণ আমাদের কাজ হলো যিনি অধিনায়ক থাকবেন উনি যে পরিকল্পনা দিবেন বা যেভাবে বলবেন সেভাবে আমরা খেলব খেলোয়াড় হিসেবে। তাই এটা নিয়ে আমরা তেমন চিন্তা করছি না।’
এ ছাড়া নিজের ফেরা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘লম্বা সময় ধরে আমি নির্বাচকদের পরিকল্পনায় আছি, এটা একটা ইতিবাচক দিক। সেটা প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই থাকা উচিত। আমি মনে করি যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লাম এর পরও আমি হাই পারফরম্যান্স, 'এ' দলে ছিলাম। এটা আমার জন্য একটা ইতিবাচক দিক যে নির্বাচকরা আমাকে ওই জায়গাতে সুযোগ দিয়েছেন। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই এমন সুযোগ পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আমি এখন অনুভব করছি যে, মাঠে যখন নামি তখন আগের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা থাকি। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর ওয়ানডে দলের কথা আপনি যেটা বললেন যে এখনই শুনলাম। আলহামদুলিল্লাহ যদি সেখানেও সুযোগ পাই ম্যাচ খেলার তাহলে ভালো করার চেষ্টা করব।’
শান্ত আরো বলেন, ‘আগে যখন খেলেছি তখন একটা ভয় কাজ করত। মনে হতো যে খারাপ খেললে বাদ পড়তে পারি বা এমন কিছু একটা ছিল। ২০১৭ সালে অভিষেক হয়েছে তখন ভয় ছিল। তবে এখন আমি মানসিকভাবে তেমন কিছু চিন্তা করছি না। ভালো খেলি কিংবা খারাপ খেলি সেটা আসলে আমার পার্ট। দলে থাকব কি থাকব না সেটা নিয়ে ভাবছি না। তবে চেষ্টা করছি নিয়মিত ভালো খেলার। আর একটা ইতিবাচক দিক হলো আমাদের কোচিং স্টাফ যারা আছেন তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে এবং এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করছেন। তারা বারবার বলছেন তুমি অনেক সুযোগ পাবে, এখন শুধু খেলায় ফোকাস করো।’