দুই ক্রিকেটারের করোনার খবর শুনে কেমন ছিল সাকিবদের অবস্থা?
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ এলো দুঃসংবাদ। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে দুজন কোভিড পজিটিভ। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় পরিস্থিতি। চমকে যায় সবাই। ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। এর একদিনের মাথায় আইপিএলের ১৪তম আসরই স্থগিত হয়ে যায়।
কিন্তু প্রথম যখন কলকাতায় দুই ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়ে, তখন কেমন ছিল দলের অবস্থা? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নাইট রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেঙ্কি মাইসোর।
করোনায় আক্রান্ত হওয়া কলকাতার দুই ক্রিকেটার হলেন বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। এই দুই ক্রিকেটারের করোনার ফল শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছিল পুরো শিবির। এরপর ছয় দিনের কোয়ারেন্টিনে চলে যায় পুরো দল।
একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইসোর বলেছেন, ‘বরুণ ও সন্দীপের খবর জানার পর আমরা চমকে যাই। আমরাই এবার প্রথম দল, যাদের শিবিরে করোনা ধরা পড়ল। শোনার পরেই আমি সবাইকে বলে দেই, আমাদের কোয়ারেন্টিনে যাওয়া দরকার। আমরা চার-পাঁচজন একটা ঘরে বসে বৈঠক করছিলাম। তখনই আমি বলি, এই বৈঠক শেষ করে আমাদের নিজেদের ঘরে যাওয়া উচিত। সবাইকে বলে দেওয়া হয় নিভৃতবাসে যেতে। আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিই যে, ছয় দিনের কঠিন নিভৃতবাসে থাকব প্রত্যেকে। অর্থাৎ কেউ ঘর ছেড়ে বের হবে না এবং হাউসকিপিংয়ের কেউ আসবে না।’
মাইসোর নির্দেশ পেয়েই দলের ম্যানেজার কাজে লেগে পড়েন। ঘরের সামনে খাবার রেখে চলে যেতে বলা হয়। হোটেলকর্মীরা চলে যাওয়ার পরই সেই দরজা খুলে খাবার নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছিল। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হতো। সকালে ওঠার আগেই এসে যেত পরীক্ষার ফলাফল।
মাইসোর আরও বলেন, ‘গত সোমবার একটি জুম কলের আয়োজন করি আমরা। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটা ঠিক করার জন্য। শাহরুখ খানও ওই কলে যোগ দিয়েছিল। প্রত্যেককে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিল, নিরাপত্তাই প্রথম এবং একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট এখন গৌণ।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতের অবস্থা নাজেহাল। রোগী শনাক্তে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এর ধাক্কা লেগেছে আইপিএলেও। গতকবাল মঙ্গলবার আসরটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।