থাপ্পড় দিয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ নেইমার
শাস্তি পাওয়াটা অনুমিতই ছিল। তবে শাস্তির মাত্রা কতটা হবে, সেটা জানার অপেক্ষায় ছিলেন ফুটবলভক্তরা। এবার জানা গেল, মার্শেই ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেসকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগে দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন পিএসজি তারকা নেইমার। বিষয়টি তদন্ত করে নেইমারকে এই শাস্তি দিয়েছে ফরাসি ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
তবে গঞ্জালেসকে এখনো কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন নেইমার। সেই অভিযোগ তদন্ত করে সিদ্ধান্ত জানাবে লিগ দে ফুটবল প্রফেশনাল (এলএফপি)।
সবচেয়ে বড় শাস্তি পেয়েছেন নেইমারের সতীর্থ লেভিন কুরজাওয়া। মার্শেই ডিফেন্ডার জর্ডান আমাভিকে লাথি মেরে ছয় ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ছাড় পাননি আমাভিও। তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পারদেসকে দুই ম্যাচ ও বেনেদিত্তোকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
লিগ ওয়ানে পিএসজি ও মার্শেইয়ের মধ্যকার ম্যাচে ঘটনাটি ঘটে। মার্শেইয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় পিএসজি। ম্যাচটির শেষে লেয়ান্দ্রো ড্যানিয়েল পারদেসের এক ফাউলকে কেন্দ্র করে তর্কে জড়িয়ে যায় দুদল। তর্ক একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন গঞ্জালেসের মাথার পেছনে থাপ্পড় দিতে দেখা যায় নেইমারকে। পরে টুইট বার্তায় নেইমার জানান, গঞ্জালেস নাকি বর্ণবাদী আচরণ করেছেন। ওই ঘটনায় লাল কার্ড দেখেছেন পাঁচজন।
এরপর নেইমারের পাশে দাঁড়িয়ে এক বিবৃতিতে পিএসজি জানিয়েছে, ‘পিএসজি খুবই আন্তরিকভাবে নেইমারকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড় বর্ণবাদী আচরণ করেছেন। ক্লাব আবারও ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বলতে চায়, সমাজের কোনো জায়গায় বর্ণবাদের জায়গা নেই। না ফুটবলে, না আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে। আমরা আশা করি, এই জঘন্য আচরণের প্রত্যেক প্রকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হবে সবাই।’
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার মার্শেইও। নিজেদের খেলোয়াড় গঞ্জালেস বর্ণবাদী নয় বলে দাবি করেছে তারা, ‘আলভারো গঞ্জালেস বর্ণবাদী নয়। এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর তাঁর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সেটার প্রমাণ বহন করে। ক্লাব সতীর্থরাও তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন।’
বিষয়টি নিয়ে এক টুইট বার্তায় নেইমার লিখেছিলেন, ‘গঞ্জালেসের মাথায় থাপ্পড় না দিয়ে বরং ওর মুখে ঘুষি মারা উচিত ছিল। কারণ, অকথ্য ভাষায় বর্ণবিদ্বেষমূলক গালাগাল দিয়েছেন। আমাকে বাঁদর বলে গালি দিয়েছেন গঞ্জালেস। আমি এর বিচার চাই।’