ক্লাব কর্মচারীদের বেতন দিতে মেসিদের ত্যাগ
করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব থমকে গেছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গন। করোনার কবলে পড়ে বিশ্বের সব টুর্নামেন্ট বন্ধ। কোনো রকম আয় ছাড়াই খেলোয়াড়দের বেতন গুনতে হচ্ছে ফুটবলের ক্লাবগুলোকে। এমন কঠিন সময়ে বার্সেলোনার কাছ থেকে নিজেদের বেতনের ৭০ শতাংশ কম নেবেন লিওনেল মেসিরা।
গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতির মাধ্যমে বার্সেলোনা অধিনায়ক মেসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনার দুর্যোগ মোকাবিলার সময়ে ক্লাবের অন্য কর্মচারীরা যেন শতভাগ বেতন পান, এর জন্য তাঁরা সব রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসি লিখেছেন, ‘আমরা একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে, প্রাপ্য বেতন কমানোর পক্ষে আমরা বরাবরই ছিলাম। কারণ, আমরা জানি এটা বিশেষ এক পরিস্থিতি। আমরা সব সময়ই ক্লাবকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলাম, যা তারা আমাদের কাছ থেকে চেয়েছে। অনেক সময়ই আমরা অনেক কিছু স্বেচ্ছায় করছি, যে মুহূর্তে আমাদের মনে হয়েছে, এটা করা প্রয়োজন কিংবা জরুরি।’
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরো লিখেছেন, ‘আমাদের অবাক করেছে যে, ক্লাবের মধ্য থেকে কিছু মানুষ আমাদের চাপে রাখতে চায় কিংবা চেষ্টা করে চাপ দিতে। কিন্তু আমরা সব সময় পরিষ্কার ছিলাম। এ কদিন আমরা এই কঠিন সময়ে ক্লাব ও কর্মীদের সাহায্য করার একটি প্রক্রিয়া খুঁজছিলাম। আমাদের জন্য যখন ঘোষণা এসেছে যে, দেশের জরুরি মুহূর্তে ৭০ শতাংশ বেতন কাটা হবে, তখন আমরাও অবদান রাখতে চেয়েছি, যাতে করে ক্লাবের কর্মচারীরা এ পরিস্থিতি চলাকালে শতভাগ বেতন পান।’
বার্সেলোনা ছাড়াও এমন কঠিন মুহূর্তে চার মাসের বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের ফুটবলাররা।
করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় কোচ, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুভেন্টাস। তুরিনের ক্লাবটির সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়েছেন দলের কোচ মাওরিসি ও ফুটবলাররা। ফলে আগামী চার মাস বেতন নেবেন না রোনালদোরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন-এই চার মাসের বেতন নেবেন না রোনালদোরা। এ চার মাসে কোচ ও খেলোয়াড়দের বেতন থেকে কাটা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ মিলিয়ন ইউরো। সেটা দিয়েই করোনার ক্ষতি পূরণ করবে জুভেন্টাস।
করোনাভাইরাস ইউরোপে সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে ইতালিতেই। এরই মধ্যে করোনার ধাক্কা খেয়েছে তুরিনের ক্লাবটিও। দলটির মোট তিন খেলোয়াড় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা হলেন পাওলো দিবালা, ড্যানিয়েলে রুগানি ও ব্লেইস মাতুইদি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিবালা অবশ্য এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন।