'ক্যাপ্টেন কুল' আকবরের হাতেই ট্রফি
দেশ ছাড়ার আগে যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলীকে বলা প্রশ্ন করা হয়, ‘দলটি কেমন? এ দল নিয়ে প্রত্যাশা কী?’ আকবর দেখতে বেশ শান্ত। ধীরে সুস্থে তিনি বলেন, ‘এ দল নিয়ে সেমিফাইনাল কেন, ফাইনালও খেলা সম্ভব।’
বাংলাদেশ কেবল ফাইনাল খেলেনি, ঠাণ্ডা মাথায় ভারতকে হারিয়ে জয় করেছে বিশ্বকাপ। আকবর আলী উঁচিয়ে ধরলেন বিশ্বকাপ ট্রফি। বাংলাদেশের খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রফিটা এল এই যুবাদের হাত ধরেই। আর ফাইনালে বিপর্যয়ের সময় ব্যাট করতে নামেন আকবর আলী। মাথা ঠাণ্ডা রেখে এক প্রান্ত আগলে রাখেন। শেষ পর্যন্ত দল জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
বিখ্যাত পেসার,বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ ম্যাচের শুরু থেকেই প্রশংসা করছিলেন আকবরের। আকবর যখন দলের অন্যান্যদের নিয়ে বিজয় উল্লাসে মত্ত তখন বিশপ বলছিলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফ্যানটাসটিক। কুলেস্ট ক্যাপ্টেন।’
১৭৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে বড় ভাইদের মতই খেই হারিয়ে ফেলে হৃদয়-তামিমরা। কিন্তু অধিনায়ক আকবর হাল ধরেন।
পচেফস্ট্রুমে টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেন আকবর আলী। শুরুতেই ভারতের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন সাকিব-শরিফুলরা। উইকেট নিতে নিয়মিত বিরতিতে বোলিং এর পরিবর্তন ঘটান আকবর। ফিল্ডিং সাজানোতেও ছিলেন বেশ তৎপর। উইকেটের পেছনে থেকে বোলারদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিচ্ছিলেন। ওই সময় ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ‘আকবর আসরের কুলেস্ট ক্যাপ্টেন। ঠাণ্ডা মাথায় সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’
দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে ১৭৭ রানে বেধে রাখে বাংলাদেশ। ব্যাটিং এ ইমন ও তামিমের শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু রবি বিষনয়ের তাণ্ডবে একে একে ফিরে যান তামিম,মাহমুদুল, হৃদয় ও শাহাদাত। ইমন আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। বিপর্যয়ের সময়ে আকবর নামেন। ৭৭ বলে ৪৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। যার মধ্যে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়ের মার। তারচেয়ে বড় কথা হল ইমন ফিরে আসার পর তার সঙ্গে ও পরে রাকিবুলকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন তিনি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক বল ছেড়েছেন, খেললেও রান নেননি। ইমন ও রাকিবুলকে পরামর্শ দিয়ে নিজের মতই শান্ত রেখেছেন।
বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭ রান। রাকিবুলকে নিয়ে জয়ী হয়েই ফেরেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন কুল।