‘কোবের মতো কিংবদন্তিরা বেঁচে থাকেন মানুষের হৃদয়ে’
কোবে ব্রায়ান্টের মতো কিংবদন্তিরা কখনোই হারিয়ে যান না, বাস্কেটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের তারেকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন কিংবদন্তি ব্রায়ান্ট। ৪১ বছর বয়সে ব্রায়ান্টের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাকিব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যতই প্রতিভা থাকুক না কেন, সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য চাই অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ়তা। কোবে ব্রায়ান্টের মতো কিংবদন্তিরা, তাই কখনোই হারিয়ে যান না। তাঁরা নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকেন লাখো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমি প্রচণ্ড শোকাহত। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা।’
ব্রায়ান্ট ছাড়াও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আরো আটজন নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন ব্রায়ান্টের ১৩ বছর বয়সী মেয়ে জিয়ানা মারি অনোরে ব্রায়ান্ট, বাস্কেটবল কোচ আলতোবেল্লি, তাঁর স্ত্রী কেরি, মেয়ে আলিসা।
বাস্কেটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন ব্রায়ান্ট। পাঁচবার এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ ও দুবার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি।
২৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনে (এনবিএ) নাম লেখান সে সময়কার বাস্কেটবল খেলোয়াড় জো ব্রায়ান্টের ছেলে কোবে ব্রায়ান্ট। শার্লট হরনেটস ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে যোগ দেন বিখ্যাত বাস্কেটবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রায়ান্টের। গত দুই যুগ বাস্কেটবল জগৎ মাতান ফিলাডেলফিয়াতে জন্ম নেওয়া এই তারকা।
লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের হয়ে টানা ২০ মৌসুম খেলেছেন ব্রায়ান্ট। ২০ মৌসুমের মধ্যে ১৮ বারই এনবিএর অলস্টার দলে জায়গা পেয়েছেন কিংবদন্তি এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ২০০৮ সালে এনবিএর মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের তকমা পান তিনি। ২০০৮ ও ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অলিম্পিকে সোনাও জিতেছিলেন ব্রায়ান্ট। ২০১৫ সালে কোবের বাস্কেটবল ক্যারিয়ার নিয়ে লেখা হয় ‘ব্রায়ান্টের কবিতা’। যার অবলম্বনে বানানো স্বল্পদৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন সিনেমা 'ডিয়ার বাস্কেটবল'। ২০১৮ সালে ‘ডিয়ার বাস্কেটবল’ সিনেমাটি অস্কার পুরস্কার লাভ করে। ২০১৬ সালে দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন কোবে ব্রায়ান্ট।