কেন দিবা-রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলা হয়?
টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত খেলা হয় লাল বলে। দিবা-রাত্রির ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হয় সাদা বলে। কিন্তু দিবা-রাত্রির টেস্টে কেন গোলাপি বলে খেলা হয়? লাল বা সাদা বলেও তো হতে পারত! কিন্তু গোলাপি বলেই কেন হয়, তা এখন আলোচনায়।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে নামছে। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। দুই দলই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামছে। তাই গোলাপি বলের টেস্ট দর্শকদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রে।
রাতে গোলাপি বলে খেলার কারণ হচ্ছে, দিবা-রাত্রির টেস্টে ক্রিকেটাররা সাদা পোশাক পরে নামেন। সেক্ষেত্রে একই রঙের বল ব্যবহারে সমস্যা হয়। তাই লাল ও সাদার মধ্যবর্তী রং হিসেবে গোলাপি বল বেছে নেওয়া হয়েছে।
অবশ্য দিনের আলোয় লাল বল সবচেয়ে ভালো দেখায়। আবার সন্ধ্যায় বা রাতের দিকে সাদা বল ভালো দেখা যায়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিবা-রাত্রির টেস্টের ক্ষেত্রে গোলাপি বল ভালো দেখায়। টেস্ট ম্যাচে একটি বলে খেলা হতে পারে ৮০ ওভার পর্যন্ত। তারপর নতুন বল চেয়ে নিতে পারে ফিল্ডিং করা দল। তাই ওয়াডে ক্রিকেটের তুলনায় টেস্টে বলের দৃশ্যমানতা বেশিক্ষণ রাখার জন্যই গোলাপি বলে খেলা হয়। তা ছাড়া সাদা বল দ্রুত ময়লা হয়ে যায়। তাই সাদা বলে ৮০ ওভার পর্যন্ত খেলা চললে ফিল্ডারদের বল দেখতে সমস্যা হতে পারে। সে জন্যই আইসিসি দিবা-রাত্রির টেস্টের জন্য গোলাপি বল বেছে নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১৫ সালে প্রথমবার গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড প্রথম গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল। এখন পর্যন্ত মোট ১১টি দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছে। ভারত ও বাংলাদেশ অবশ্য এখনো গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেনি। আগামী ২২-২৬ নভেম্বর ইডেনে প্রথমবার গোলাপি বলে টেস্ট খেলবে দুই দেশ।