কুমিল্লায় বিধ্বস্ত তাসকিন-মুস্তাফিজের রংপুর
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। বল হাতে বাকি কাজ সেরেছেন রেড জার্সির বোলাররা। আল-আমিন, মুজিবুর হরমান ও আবু হায়দার রনিদের বোলিংয়ে রংপুর রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সকে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ব্যাট হাতে মাত্র ৩১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক শানাকা।
দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। ম্যাচটিতে চট্টগ্রাম হারলেও শেষ পর্যন্ত লড়েছে। স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক রানও তুলেছে। সেই তুলনায় কুমিল্লার সামনে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি রংপুর।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। অবশ্য অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।
একে একে উইকেটে এসে ব্যর্থ হয়েছেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। শুরুর দিকে রান তোলার আশা দেখিয়েও ১৮ বলে ২৬ রানে বিদায় নেন সৌম্য। ২৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান। টিকতে পারেননি সাব্বির রহমানও। করেন ১৭ বলে ১৯ রান।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শানাকা। দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ কাটান তিনি। ধীরে-সুস্থে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে দলকে ১৭৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন। ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরির পর মাত্র ৩১ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৩৬ বল আগেই অলআউট হয় রংপুর রেঞ্জার্স। ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল রংপুরের ব্যাটিং। উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ১৭ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাঈম। বাকি ১০ ব্যাটসম্যানদের স্কোর যথাক্রমে ১৩, ৫, ১, ০, ১১, ০, ৩, ১, ৮।
হার দিয়ে শুরু করা রংপুর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। অন্যদিকে কুমিল্লার পরের ম্যাচ আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে।