করোনায় বাংলাদেশের সব খেলাধুলা স্থগিত
নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। এ ভাইরাসের প্রভাবে ক্রীড়াঙ্গনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সব টুর্নামেন্ট। সেই পথ ধরে এবার বাংলাদেশেরও সব খেলাধুলা বন্ধ সাময়িক ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ ফুটবলের চলতি লিগও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, আপাপত ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব খেলা বন্ধ থাকবে।
জাহিদ আহসান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিকভাবে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার কারণে আমরা জাতীয় ইভেন্টগুলো সব স্থগিত করেছি। মুজিববর্ষের জাতীয় আয়োজনগুলো পুনর্বিন্যাস করেছি আমরা। সেখানে ক্রীড়াঙ্গনের যে কর্মসূচি ছিল, বাংলাদেশ গেমস ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের কনসার্ট ছিল, টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল এশিয়া একাদশ ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের, বার্সেলোনার ক্লাব পর্যায়ে একটি ম্যাচ ছিল। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল। সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমানে ঘরোয়া লিগের খেলা আছে সেগুলো ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেসব বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে অবস্থা দেখে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এপ্রিল মাসে ফেডারেশনগুলো এসব আয়োজন করার চেষ্টা করবে। পরিস্থিতি ভালো না হলে পরে সেগুলি মে, জুন বা জুলাই মাসে নিয়ে যাবে।’
সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার পর আপাপতত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে প্রিমিয়ার লিগের খেলা।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সে পথে হাঁটেনি। তারা আপাতত ডিপিএলের এক রাউন্ডের খেলা স্থগিত করেছে।
আড়াই মাসে মহামারীর আকার পাওয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ১৬৮টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮২ হাজার ৪৪ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাত হাজার। তবে এতদিন মৃত্যুর খাতায় কোনো ফুটবল–সংশ্লিষ্ট কারো নাম ছিল না। গতকাল প্রথম মারা গেলেন স্পেনের মালাগা অঞ্চলের অ্যাথলেটিকো পোর্তাদা আলতার জুনিয়র দলের কোচ ছিলেন ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া।