ওমানকে মাঝারি চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ
বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ নাঈম ও সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে উপহার দেন ৮০ রানের চমৎকার জুটি। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
ওমানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন নাঈম শেখ।
অবশ্য ইনিংসের প্রথম বল থেকেই আত্মবিশ্বাস বেশ নড়বড়ে দেখা যায় বাংলাদেশি ওপেনারদের। দুই ওয়াইড পেয়ে রানের খাতা খোলে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ওপেনাররা নিতে পেরেছেন কেবল এক রান।
দ্বিতীয় ওভারে স্ট্রাইক পান লিটন। কলিমউল্লাহর বল তাঁর ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে যায়। কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন লিটন। আল্ট্রা এজে গিয়ে বেঁচে যান লিটন। জীবন পেয়েও থিতু হতে পারেননি লিটন। পরের ওভারের পঞ্চম বলে সেই এলবি হয়েই ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বাঁহাতি পেসার বিলাল খানের ফুল লেংথ বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় ওমান। রিভিউতে স্পষ্ট দেখা যায় বল লাগতো লেগ-মিডল স্টাম্পে। ৬ রানে বিদায় নেন লিটন।
লিটনের পর ওয়ান ডাউনে নেমে ফিরে যান মেহেদী হাসানও। ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪ বল খেলে রানের খাতাও খুলতে পারেননি মেহেদী। পঞ্চম ওভারে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে শট খেলতে চেয়েছিলেন মেহেদী। টাইমিং ঠিক হয়নি, ঝাঁপিয়ে মুঠোয় ক্যাচ জমান ফায়াজ।
দুই উইকেট হারানোর পর বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কমে যায় রানের গতিও। অস্বস্তিতে পড়ে যান ব্যাটসম্যানরা। বারবারই ভুল করে বসেন থিতু হয়ে যাওয়া নাঈম। প্রথম আট ওভারে তিনবার জীবন পান নাঈম।
সেই সুবিধা পরে অবশ্য কাজে লাগান নাঈম। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন তিনি। দুজনে মিলে রানের গতিও বাড়ান। ৩৯ বলে এই জুটিতে আসে ৫০ রান। শেষ পর্যন্ত ৮০ রানে ভাঙে এই জুটি। দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে ফিরে যান সাকিব। ২৯ বলে ৪২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।
সাকিব ফিরলেও থিতু ছিলেন নাঈম। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৪৩ বলে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন নাঈম। এর মাঝে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান। টিকতে পারেননি আফিফ হোসেনও। এরপর আউট হয়ে যান নাঈম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা নাঈম ৫০ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বড় লক্ষ্যের আশায় থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৫৩ রানে থামে।
এর আগে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ ছিলেন সাকিবরা। ওপেনিংয়ে বরাবরের মতো হতাশ করেছেন সৌম্য সরকার-লিটন দাস। ভালো করেনি মিডল অর্ডারও। সবমিলিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে তাদের অবস্থাও এখন নড়বড়ে। তাই শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই লাল-সবুজের দলের। ওমানের কাছে হারলে আজই শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।