শিরোপার এত কাছে গিয়েও তা ছুঁতে পারলেন না খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। গতকাল শুক্রবার বিপিএলের ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। অবশ্য তাতে হতাশ নন খুলনা অধিনায়ক। এবার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে, আগামীতে চ্যাম্পিয়ন হবেন বলেই আশা করেন  এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান ফাইনালে গিয়ে শিরোপা হারানোটা হতাশার হলেও আগামীতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারই প্রত্যাশা রাখেন। তিনি বলেন, ‘হতাশ তো অবশ্যই। ফাইনালে উঠলে অবশ্যই সবার প্রত্যাশা থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু সবসময় প্রত্যাশা পূরণ হয় না। কাজ ঠিকমতো না করলে ফল আসে না। আমরা আজকে কোনো বিভাগেই খুব একটা ভালো করিনি। শুরুটা ভালো করেছিলাম, ১৬ ওভার পর্যন্ত ভালো ছিল। তারপর বোলিং এবং একটি-দুটি ক্যাচ হাতছাড়া হওয়াটা খারাপ ছিল। সেদিক থেকে হতাশার।’

এরপর তিনি বলেন, ‘তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে আমাদের বোলিং-ফিল্ডিং ভালো ছিল। সেদিক থেকে বললে, শেষটা হতাশ হলেও সব মিলিয়ে খারাপ নয়। আগে কোনোবার ফাইনাল খেলতে পারিনি। এবার ফাইনাল খেললাম, পরেরবার ইনশাল্লাহ চ্যাম্পিয়নও হতে পারব।’

ছোটখাট ভুলের কারণে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে ব্যাখ্যা করে খুলনা অধিনায়ক মুশফিক বলেন, ‘১৬ ওভার পর্যন্ত আমরা খুবই ভালো চলছিলাম। যতই ড্যামেজ হচ্ছিল, আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে চাচ্ছিলাম। রাসেলের ওই ক্যাচটা যদি হয়ে যেত, তাহলে মোমেন্টাম ডিফরেন্ট হয়ে যেতে পারত। নওয়াজ হয়তো একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান, তাই হয়তো একদিকে থাকতো। ওর পক্ষে মারাটা কঠিন হয়ে যেত। কারণ ও যখন এক রান নিত, নতুন ব্যাটসম্যান স্ট্রাইকে যেত, এক-দুটি বল ডট বা আউট হওয়ার চান্স থাকত। ছোটোখাটো একটু ভুলে সব শেষ, এটাই স্বাভাবিক। এরকম যখন ভুল করবেন, আপনাকে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে। আমি সেট হয়ে খেলতে পারলে হয়তো আরেকটু সহজ হতো। কিন্তু গিয়েই এরকম উইকেটে হিট করা আমার জন্যও কঠিন ছিল।’

ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে শুরুটা অতটা ভালো হয়নি। রাইলি ও শামসুর যেভাবে ব্যাটিং করছিল, আমার মনে হয় সাড়ে নয় রান করে লাগছিল। শিশির যেখানে আছে, ব্যাটিংটা একটু সহজ মনে হয়েছে। কিন্তু রাইলি খুব বাজে সময়ে আউট হয়ে গেছে। ও একটা লাইফও পেয়েছে। পুরো টুর্নামেন্ট ও ভালো ফর্মে ছিল। এটা একটু আনলাকি। ওর আউটের ওভারটায় পুরো মোমেন্টাম পাল্টে গেছে।’