এন্ড্রু কিশোরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনে বহু গান উপহার দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। মুগ্ধ করে রেখেছিলেন কয়েক প্রজন্মকে। জনপ্রিয় এই শিল্পী গতকাল সোমবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল। এই কালজয়ী শিল্পীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এক শোক বার্তায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এন্ড্রু কিশোর ছিলেন এদেশের সংগীত অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গেও এন্ড্রু কিশোর ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। যে কোনো বড় ইভেন্টের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দর্শক শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়েছে। বাংলা গানের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই শিল্পীর মৃত্যু সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক বিরাট ক্ষতি হলো। দেশীয় সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে এবং দেশ-বিদেশে বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকরণে এই কালজয়ী শিল্পীর অসামান্য অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনবদ্য সৃষ্টিগুলোর মধ্যেই তিনি অমর হয়ে থাকবেন।'
বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাঁকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র। কয়েক দশক ধরে সেই সমুদ্রে সাঁতার কেটে চলেছেন শ্রোতারা। ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’, ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমারই ছোঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘চোখ যে মনের কথা বলে’সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর।