আইপিএল আয়োজনে ভারত সরকারের সবুজ সংকেত
দিনক্ষণ আগেই চূড়ান্ত ছিল। অপেক্ষা ছিল সরকারের অনুমোদনের। অবশেষে সেটাও পেয়ে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আইপিএল আয়োজনের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে আইপিএলের এবারের আসর।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার পরদিনই আইপিএল আয়োজনের ঘোষণা দেয় বিসিসিআই। ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে ভারতীয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরটি। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ১০ নভেম্বর।
গতকাল রোববার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় ঠিক করা হয়, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক ২৪ জন ক্রিকেটার দলের সঙ্গে রাখতে পারবে। পাশাপাশি আইপিএলেও রাখা হয়েছে কোভিড-১৯ বদলির ব্যবস্থা।
এর আগে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছিলেন, আইপিএল আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ভেন্যু হিসেবে শারজাহ, আবুধাবি ও দুবাইকে বেছে রেখেছে বিসিসিআই। কারণ, তিনটি জায়গাতেই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। এই তিন মাঠে মোট ৬০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
দলগুলোর অনুশীলনের জন্য দুটি মাঠের ব্যবস্থা করা হচ্ছে দুবাইতে। আইসিসির সদর দপ্তরের পাশে যে একাডেমি রয়েছে, সেখানেই দুটি মাঠ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেখানেই অনুশীলন করবে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানা গেছে, আরব আমিরাতে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে সব দল তাদের ক্যাম্প শুরু করবে। ক্রিকেটারদের যাওয়া-আসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি বিমান সংস্থার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছে বিসিসিআই, যাতে বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিকেটারদের নিয়ে আসতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়।
চলতি বছর ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাই বিশ্বকাপের ওই সময়টায় আইপিএল আয়োজিত হবে। আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনাল হবে ১৪ নভেম্বর। ২০২১ সালের বিশ্বকাপ পিছিয়ে হবে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে। আর ফাইনাল হবে ১৩ নভেম্বর।
এর আগে দুবার ভারতের বাইরে আইপিএল আয়োজন হয়েছিল। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ও ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন হয়েছিল আসরটি।