এত দিন দেশসেরা ওপেনার নামে পরিচিত ছিলেন তামিম ইকবাল। এবার যোগ হলো নতুন পরিচয়। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের ভার পড়েছে তাঁর কাঁধে। কদিন আগেই দীর্ঘ মেয়াদি অধিনায়ক হিসেবে তামিমের নাম ঘোষণ করেছে বিসিবি। তবে মূল দায়িত্ব ঘাড়ে নেওয়ার আগে সবার কাছে সময় চাইলেন নতুন অধিনায়ক। সেই সঙ্গে জানালেন, দায়িত্ব পালন করতে না পারলে নিজেই ছেড়ে দেবেন অধিনায়কত্ব।

আজ শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অনুশীলনে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। প্রিমিয়ার লীগে প্রাইম ব্যাংকের নেতৃত্বও দেবেন তিনি।

এ সময় নতুন দায়িত্ব নিয়ে কথা উঠলে তামিম বলেন, ‘আমি আপাতত সবাইকে বলব, আমার এ ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য রাখেন। নিজের ব্যাটিংয়ে এক সিরিজ, দুই সিরিজ বা ৫টা ব্যর্থতা—এটা হতেই পারে। তাতে অধৈর্য হব না, আপনারাও হবেন না আশাকরি। দর্শকদেরও একই অনুরোধ করব। চেষ্টা করব যেন, তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায়।’

এরপর তামিম বলেন, ‘যদি কোনো কারণে কোনো সময়—সেটা ছয় মাস হোক বা এক বছর, আমার যদি মনে হয় আমি দলের সঙ্গে সুবিচার করছি না, তাহলে আমিই হব প্রথমজন, যে সরে দাঁড়ানোর কথা বলবে। আমিই সবার আগে হাত তুলে বলব সরি (দুঃখিত)।’

মাশরাফীর পর তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব পাওয়ার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ তিনি। তবুও নিষেধাজ্ঞার পর তাঁকেই নেতৃত্ব দেখা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। অবশ্য এখন আর হয়তো হচ্ছে না। তামিমকে লম্বা সময়ের জন্যই নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তামিমের। গত বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে চোটের কারণে যেতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফী। তাঁর পরিবর্তে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম। লঙ্কানদের মাটিতে তিন ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ দল।

এর আগে ২০১৭ সালে একটি টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম। তখনকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম চোটে আক্রান্ত হওয়ায় ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখনকার সহঅধিনায়ক তামিম। সে ম্যাচেও বাংলাদেশ নয় উইকেটে হেরেছিল।