দর্শকশূন্য মাঠে খেলা চায় অস্ট্রেলিয়াও
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের সব খেলাধুলা। ঠিক কবে নাগাদ ফের মাঠে প্রাণ ফিরবে, তারও ঠিক নেই। এমন কঠিন মুহূর্তে পুরো বিশ্ব লড়ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে।
এর মধ্যেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ান মরগান জানান, এই পরিস্থিতির মধ্যেও খেলা চান তিনি। ইংলিশ তারকার পর এবার অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও জানালেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই দর্শকশূন্য মাঠে খেলা চান তাঁরা।
বিবিসি রেডিওকে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘ছোটবেলায় আপনি যখন খেলা শুরু করেছিলেন, তখন সেখানে কোনো দর্শক থাকত না। আপনি খেলতেন, কারণ আপনি খেলাটা খেলতে ভালোবাসতেন, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসতেন; কেবল খেলাটির প্রতি ভালোবাসা থেকে। এখন টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে মানুষকে বিনোদন দেওয়া সম্ভব হওয়ার কারণে দর্শকশূন্য মাঠে খেলারও মূল্য আছে।’
ইংলিশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, করোনার কারণে ঘরে বন্দি মানুষের জন্য হলেও মাঠে খেলা ফিরিয়ে আনা দরকার। তাহলে লকডাউন অবস্থায় মানুষ খেলা দেখে সময় কাটাতে পারে।
এ কঠিন পরিস্থিতিতে খেলাই বিশ্বকে প্রাণচঞ্চল করে তুলতে পারে বলে মনে করেন মরগান। বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলা হোক, তবুও খেলতে চান ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।
বিবিসিকে মরগান বলেন, ‘এমন অবস্থায় বেশি ক্রিকেট ম্যাচ খেলা চেষ্টা করা উচিত। আমি মনে করি, খেলোয়াড়েরা খেলতে চাইবে। আমি অবশ্যই খেলতে চাইব। কারণ, খেলাধুলা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। বিচ্ছিন্ন সময়টা মানুষের মন অলস হয়ে যায়। খেলাধুলা যে মঞ্চ তৈরি করবে, যেই প্রত্যাশার জায়গা তৈরি করবে, সেটা মানুষকে আবার ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসার অনুভূতি এনে দিতে পারে। যদি এমন কিছু করা যায়, তাহলে আমি মনে করি বড় পদক্ষেপ হবে।’
অবশ্য খেলার আয়োজন যে এখন প্রায় অসম্ভব, সেটার বাস্তবতাও বোঝেন মরগান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবকিছুই অনিশ্চিত। এ সময়ে আমাদের খেলা নিয়ে, কখন প্রথম ম্যাচ খেলতে পারব কিংবা কত ম্যাচ খেলতে পারব, এসব চিন্তা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। মহামারির প্রকোপটা একটু কমুক, তারপর না হয় দেখা যাবে।’
এদিকে মরগানের সতীর্থ জস বাটলার করোনা মোকাবিলায় তহবিল সংগ্রহের জন্য নিলামে তুলেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি। অনলাইনে এই নিলাম শুরুতেই বাড়ছে জার্সির দাম। বিষটি নিয়ে সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসালেন মরগান। তিনি বলেন, ‘তাঁর (বাটলার) জার্সিটি প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে। এটি করা উচিত, এটা দিয়ে অনেককে সাহায্য করা যাবে। কাজটি সে দারুণ করেছে।’