চ্যাম্পিয়নস কাপ নামে নতুন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক  খবরে বলা হয়েছে, র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। আর ম্যাচ হবে ৪৮টি।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সমান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৪ ও ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপ। ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নস কাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে।

একই সময়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ও ২০৩০ সালে, ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ ও ২০৩১ সালে।

৫০ ওভার ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস কাপ বিবেচিত হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হিসেবে। একই ভাবে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপ একটি বিশ্বকাপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো ২০২৩-২০৩১ চক্রের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

তবে আইসিসির এই প্রস্তাব ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এখনো কিছুই জানায়নি। এই তিন বোর্ড এর আগে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ আয়োজনে সময় রাখতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

আইসিসির প্রস্তাব অনুযায়ী এসব ইভেন্ট মাঠে গড়ালে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ অনেক কমে যাবে এবং যার ফলে বিগ থ্রি হিসেবে পরিচিত বোর্ডগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ ছাড়া নারী টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নস কাপও আয়োজন করতে চায় আইসিসি। বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে প্রস্তাবনায় আইসিসির নির্ধারিত শর্তাবলীর অধীনে প্রতিটি আসরের আয়োজক দেশ টিকেট, আতিথেয়তা এবং খাদ্যের রাজস্ব পাবে। আর আইসিসি প্রতিটি ইভেন্টের অন্য সব বাণিজ্যিক ও সম্প্রচারের অধিকার অব্যাহত রাখবে।