আপনার জিজ্ঞাসা
ব্যবসায়ে কত পার্সেন্ট লাভ করা যায়?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৮তম পর্বে ব্যবসায়ে কত পার্সেন্ট লাভ করা যায়, সে বিষয়ে কাতার থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন আমিনুল ইসলাম। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : ব্যবসায়ে কত পার্সেন্ট লাভ করা যায়? যেমন, আমি একটি শার্ট কিনে আনলাম ১০০ টাকা দিয়ে, এই ১০০ টাকার মধ্যে সব খরচ ধরা হয়েছে। এখন এটা বিক্রি করব কত টাকা দিয়ে? যারা ১০০ টাকার কাপড় ৩০০-৫০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করে তাদের কী হবে?
উত্তর : ব্যবসায়ে লাভের পার্সেন্ট নির্ধারিত নয়। ইসলামী অর্থনীতিতে মার্কেটকে উম্মুক্ত রাখা হয়েছে, যারা উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের জন্য। এ ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো ভোক্তা বা ক্রেতার ওপর কোনো জুলুম হওয়া যাবে না। সুতরাং, আপনি যখন ব্যবসায়ে পার্সেন্ট নির্ধারণ করবেন, তখন খেয়াল রাখবেন আপনি কোনো ক্রেতার ওপর জুলুম করছেন কি না। যদি মনে করেন আপনি কারও ওপর জুলুম করছেন, তাহলে অবশ্যই এটা হারাম হবে।
আপনার জন্য ১০০ পার্সেন্টও নেওয়া জায়েজ রয়েছে, যদি আপনি মনে করেন যে এটা জুলুম নয়। কারণ আপনি এটা অনেক কষ্ট করে আমদানি করেছেন। এর জোগান দেওয়াটা আপনার জন্য অনেক কষ্টকর ছিল।
কোনোভাবেই ক্রেতা বা ভোক্তার ওপর জুলুম করা যাবে না, এটা হলো প্রথম পয়েন্ট।
দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো, পার্সেন্ট নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বাজারদর অনুসরণ করতে হবে। যেমন, বাজারে একটা জিনিস কেউ বিক্রি করছে ৫০ টাকায়। আপনি সেই জিনিস বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়, তাহলে আপনি নাজায়েজ কাজ করলেন। বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে প্রচলন আছে সেই প্রচলন আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে উদ্যোক্তাগণ সিন্ডিকেট বা কৌশল করে জিনিসের দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। এই কাজটি সম্পূর্ণরূপে হারাম। এটা পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতিতে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।