আপনার জিজ্ঞাসা
তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরার আগে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৪৯তম পর্বে তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়া যাবে কি না, সে বিষয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন মেহেদি হাসান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : নামাজের মধ্যে আমরা যখন তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ি, এসব পড়ার আগে কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে? পড়লে বা না পড়লে কি কোনো সমস্যা আছে?
উত্তর : তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ার বিধান নেই। তাশাহুদ, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরা সেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, আপনি সেভাবেই পড়বেন। এখানে বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করার কোনো প্রয়োজন নেই। সেখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর বিধান আছে, শুধু সেখানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়বেন।
দ্বিতীয় যে প্রশ্ন করেছেন, পড়লে সমস্যা আছে কি না, এই প্রশ্নটি ইসলামী শরিয়তের মধ্যে অবান্তর। ইবাদতের ব্যাপারে সমস্যা আছে কি না, এমন প্রশ্ন করবেন না। ইবাদতের ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন আমার এই কাজের দলিল আছে কি না। কারণ, দলিল না থাকলে সেটি বেদাত হয়ে যেতে পারে। দলিল না থাকলে সেটা সুন্নাহর পরিপন্থী কাজ হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং, ইবাদতের ক্ষেত্রে কোনো ভাই এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না যে কোনো সমস্যা আছে কি না বা এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না। এ ধরনের প্রশ্ন অবান্তর, শরিয়ত এটা অনুমোদন করে না। বরং প্রশ্ন এমন হওয়া উচিত যে ইবাদত করার জন্য এ কাজের কোনো দলিল, প্রমাণ বা অনুমোদন আছে কি না। যদি অনুমোদন না থাকে, তাহলে তার বিধান কী হবে। রাসুল (সা.) সহিহ বুখারির মধ্যে স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন, আয়েশা (রা.) বলেন যে, আল্লাহর নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু নতুন করে যোগ করে দিল, যার ওপর আমাদের নির্দেশনা নেই। সে এবং তার এই কাজ দুটাই প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে, সেটা বাদ দিয়ে নতুন কিছু এর মধ্যে যোগ করা হচ্ছে দ্বীনের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। সুতরাং ইবাদতের জন্য প্রশ্ন করতে হবে যে এই কাজটির কোনো দলিল আছে কি না। দলিল না থাকলে আমরা সে কাজটি করব না।