Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

স্নিগ্ধ নাজনীন নিহা

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

রোমান্টিক শহরে মেহজাবীন

বিয়ের পিড়িতে জেফ বেজোস - লরেন সানচেজ

জন্মদিনে রুক্মিণী

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

ভিডিও
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
রাতের আড্ডা : পর্ব ১০
গানের বাজার, পর্ব ২৩৮
নাটক : রক্ত জবা
নাটক : রক্ত জবা
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৩
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৪
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৪
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬০
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৬০
আপনার জিজ্ঞাসা (সরাসরি) : পর্ব ৮৭৩
আপনার জিজ্ঞাসা (সরাসরি) : পর্ব ৮৭৩
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৩
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০৩
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১১:০১, ২০ জুন ২০১৮
আপডেট: ১৩:০৫, ২০ জুন ২০১৮
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১১:০১, ২০ জুন ২০১৮
আপডেট: ১৩:০৫, ২০ জুন ২০১৮
আরও খবর
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই
জয়ের ঘনঘন বক্তব্য বদলের ব্যাখ্যা দিলেন আলী রীয়াজ
পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঠাগারগুলো টিকিয়ে রাখতে কী করা যেতে পারে

দৃষ্টিপাত

বিশ্ব শরণার্থী দিবস ও বাংলাদেশ

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১১:০১, ২০ জুন ২০১৮
আপডেট: ১৩:০৫, ২০ জুন ২০১৮
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১১:০১, ২০ জুন ২০১৮
আপডেট: ১৩:০৫, ২০ জুন ২০১৮

বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়াবহ এক মানবিক সংকট শরণার্থী সমস্যা। বিশ্ব সম্প্রদায় সমস্যাটির কারণে মারাত্মক উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে সন্দেহাতীত যে মিয়ানমারের আরাকানে চলমান রোহিঙ্গা নিপীড়ন ‘গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও জাতিগত নিধনে’ রূপ লাভ করেছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। আন্তর্জাতিক সমস্ত আইন, রীতিনীতি ও মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভয়ংকর নিপীড়ন, নিগ্রহ, হত্যা, গণধর্ষণ, সম্পত্তি বিনাশ, উচ্ছেদ ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ‘রোহিঙ্গা’ নামের এই পুরো জাতিগোষ্ঠীকেই বাংলাদেশে স্থানান্তর এবং বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে দেশটির সরকার। চলমান নিপীড়ন ও গণহত্যা সেই অপপ্রয়াসের চূড়ান্ত রূপ।

নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে পলায়নপর রোহিঙ্গা শরণার্থীর সবচেয়ে বড় চাপটি বাংলাদেশকে সহ্য করতে হচ্ছে যদিও এই সমস্যা সৃষ্টিতে বাংলাদেশের কোন ভূমিকা ছিল না এবং নেই। ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য হচ্ছে রোহিঙ্গা মিয়ানমারের একটি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী এবং ধর্ম ও চট্টগ্রামের কিছুটা আঞ্চলিক ভাষাগত সাযুজ্য ছাড়া বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে রোহিঙ্গার কোনো নৃতাত্ত্বিক সম্বন্ধ নাই। এক ভাষায় কথা বললে বা একই ধর্মাবলম্বী হলেই দুটি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এক হয়ে যায় না।

শুরুতে বিশ্ব শরণার্থী দিবসের গোড়ার কথা একটু বলে নিতে চাই। ১৯৫১ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক শরণার্থীদের মর্যাদা বিষয়ক সম্মেলনে অনুচ্ছেদ ১এ-তে সংক্ষিপ্ত আকারে শরণার্থীর সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়। একজন ব্যক্তি যদি গভীরভাবে উপলব্ধি করেন ও দেখতে পান যে, তিনি জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উন্মাদনা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শ, সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ায় তাঁকে ওই দেশের নাগরিকের অধিকার থেকে দূরে সরানো হচ্ছে; সেখানে ব্যাপক ভয়-ভীতিকর পরিবেশ বিদ্যমান এবং রাষ্ট্র তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে; তখনই তিনি শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। ১৯৬৭ সালের সম্মেলনের খসড়া দলিলে উদ্বাস্তুর সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করা হয়। আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনে যুদ্ধ এবং অন্যান্য সহিংসতায় আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক নিজ দেশত্যাগ করাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সংজ্ঞায় শরণার্থীকে প্রায়ই ভাসমান ব্যক্তিরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞার বাইরে থেকে যদি যুদ্ধের কারণে নির্যাতন-নিপীড়নে আক্রান্ত না হয়েও মাতৃভূমি পরিত্যাগ করে অথবা, জোরপূর্বক নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়- তাহলে তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০১ সাল থেকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়ে আসছে। ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সাল থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। যদিও ২০০০ সাল পর্যন্ত ‘আফ্রিকান শরণার্থী’ দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিল। জাতিসংঘ পরবর্তীকালে নিশ্চিত করে যে, অর্গাইজেশন অব আফ্রিকান ইউনিটি ২০ জুনকে ‘আফ্রিকান শরণার্থী’ দিবসের পরিবর্তে আন্তর্জাতিকভাবে শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়। আর সেই সাথে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকেও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের নানা সমস্যা সমাধান ও অধিকার বাস্তবায়নে যেমন কাজ করছে তেমনি ‘বিশ্ব শরণার্থী’ দিবসকে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে রাষ্ট্রসমূহকে শরণার্থীদের প্রতি আরো সংবেদনশীল ও মনযোগী হওয়ার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।

আমাদের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বিধৃত আছে ‘আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ এ অনুচ্ছেদে ‘ব্যক্তি’ শব্দটি আন্তর্জাতিক রূপ পরিগ্রহ করেছে। ‘ব্যক্তি’ শব্দটি উল্লেখ থাকায় বিশ্বের সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, শুধু বাংলাদেশের নাগরিকের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার অভিব্যক্তি এটি নয়। একইভাবে বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের রীতি-নীতি পালন করে যদিও বাংলাদেশ শরণার্থী সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে, কিন্তু শরণার্থী সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের শরণার্থী সংকটের দ্রুত ও কার্যকর সমাধানের প্রয়োজন। দেশকে ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় শরণার্থী বিষয়ক একটি জাতীয় আইন প্রণয়নের গুরুত্বকে কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। শরণার্থীবিষয়ক আইনের শূন্যতার কারণে শরণার্থীদের ওপর সরকারের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ খুবই দূর্বল। শরণার্থীবিষয়ক যে কোনো স্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ বা অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হতে হয়।

আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনে বলা আছে, শরণার্থীরা শুধু আশ্রয় প্রদানকারী দেশেরই বোঝা নয় বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও বোঝা। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে থাকলে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মাধ্যমে সেই বোঝা লাঘব করার প্রয়াস করে থাকে। আমরা যেটা করছি তা মানবিক। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় আমরা সই করলেও মূল ভিত্তি যে কনভেনশন সেখানে সই করিনি। এমনকি প্রটোকলেও না। তার মানে এত শরণার্থী আসলে তাদের আমরা কীভাবে পরিচালিত করব তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আমাদের দেশে ফরেনার্স অ্যাক্ট রয়েছে। কিন্তু সেটি দিয়ে পরিচালনা করতে হলে বাংলাদেশে বসবাসরত অন্যান্য দেশের নাগরিক হতে হবে এবং তাকে পাসপোর্ট ভিসাধারী হতে হবে। এই রোহিঙ্গাদের এখন যে শিশু জন্ম হবে তাদের নাগরিকত্ব কি বাংলাদেশ দেবে? কেননা নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জন্মসূত্রে নাগরিক হওয়ার কথা। যদি তা না দেওয়া হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে। আবার যদি সংবিধানের কথা বলি, সংবিধানে শরণার্থীর আইনি অধিকার নিতে পারবে সে কথা পরোক্ষভাবে দেওয়া আছে। তারা যদি আইনি আশ্রয় নিতে চায় কোন আইনে নেবে, আমাদের প্রচলিত আইন নাকি নতুন করে আইন হবে সেই বিষয়গুলোর সুরাহা এখনই করতে হবে।

বাংলাদেশের সীমানায় রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের বলপূর্বক প্রত্যাবর্তন করা থেকে বিরত থাকা হয়েছে কারণ তাদের পুশব্যাক করা মানে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। তাদের আশ্রয় লাভের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে এ বিশাল বাস্তুহারা লোকজনকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে। যাতে তারা সুরক্ষা পায় এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ইত্যাদি সংকট সৃষ্টি না হয়। এতে শরণার্থীদের উপযুক্ত আইনগত মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেওয়া যাবে এবং এ দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ হবে। এতে শরণার্থীদের আচরণ বিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনসহ তাদের তৃতীয় কোনো রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রদানেও সহায়তা করা যায়। সংশ্লিষ্ট সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখে অথবা ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে এবং তাদের শরণার্থী পরিচয় ঘোচানোর চেষ্টা চালাতে হবে।

সাধারণ ক্ষমার আওতায় তারা প্রত্যাবাসন করতে চাইলে দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা, শরণার্থী পরিবারগুলোকে একত্রীকরণ ও সুরক্ষার মাধ্যমে মানবিক বিপর্যয় থেকে তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিপুল শরণার্থীর ঢল নেমে এলেও স্থানীয় জনগণ ও বাংলাদেশের মানবাধিকার চেতনাধারী মানুষ পরিস্থিতির মোকাবিলার মাধ্যমে মানবিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা ঘটায়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দ্রুত এগিয়ে আসেনি এবং মায়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত খাদ্য, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয় ও চিকিৎসা সুবিধাদি নিশ্চিত হয়নি। শরণার্থীদের অধিকাংশ নারী এবং শিশু ও অশীতিপর বৃদ্ধ। রোহিঙ্গা শিবিরে সহস্রাধিক শিশু অভিভাবকহীন। এদের অনেকের মা-বাবা আরাকানে সহিংসতায় নির্মম হত্যার শিকার, নয়তো বাংলাদেশে দীর্ঘ বিপদ সংকুল পথ পেরিয়ে আসার সময় হারিয়ে গেছে। এদের প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিশেষ দৃষ্টি আবশ্যক।

সরকারের উচিত এ মুহূর্তে কূটনৈতিক তৎপরতা বা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দ্রুত তাদের কান্ট্রি অব অরিজিন বা উৎস রাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো। যাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় তাদের তৃতীয় দেশে শরণার্থী অভিবাসনই একমাত্র সমাধান। বর্তমান প্রকট শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ব্যাপক তৎপরতা চালাতে হবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বন্ধু রাষ্ট্রসমূহকে কাজে লাগাতে হবে। যারা বলছেন শরণার্থীদের চলে যেতে, তাদের বলি এটা সম্ভব হলে তারা চলে যেত। কেননা স্বদেশ হারাবার মতো বড় বেদনা পৃথিবীর আর কিছু নেই। তারা স্ব-ভূমিতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার ও ইউএনএইচসিআরকে যুগপৎ কাজ করতে হবে। তবে তাদের অস্থায়ী সুরক্ষার জন্য একটি শরণার্থী নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা আইন এখন সময়ের দাবি। আশা রাখি বিষয়টি সরকার, আইন প্রণেতা, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞ বিচারপতিগণ, আইন কমিশনসহ মানবাধিকারকর্মীদের সদয় বিবেচনায় আনবেন।

বাংলাদেশ যদি আশ্রয় দিতে অপরাগ হয়েই থাকে এবং মিয়ানমার যদি তাদের পুনর্বাসন করতে আগ্রহী না-ই হয়ে থাকে, এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একেবারে অস্বীকার করতে পারে না। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সম্মত এমন কোনো তৃতীয় দেশের সন্ধান করা। মিয়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা সম্ভব কি না এই নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দরকষাকষি করা উচিত। এই জাতীয় সহৃদয়তা ও মানবিক সহায়তা উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়, সময়োপযোগী ও যথার্থ। কিন্তু একইসাথে মনে রাখা দরকার :

ক) রোহিঙ্গাদের এই সাময়িক আশ্রয়দান ও মানবিক সাহায্য স্থায়ী সমাধান নয়। তাদের জাতিগত পরিচয়ের স্বীকৃতি ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যার্পণের জন্য মায়ানমারের উপরে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

খ) সব রোহিঙ্গার বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মাধ্যমে ‘রিফিউজি কার্ড’ ইস্যু করা যেতে পারে যাতে পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে না পারে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে এ কাজ করতে সক্ষম।

গ) জাতিসংঘের সাথে সমন্বয় করে রোহিঙ্গাদেরকে মানবিক সুযোগ- সুবিধাসহ পৃথক আবাসস্থলে রাখতে হবে, বাঙালি-রোহিঙ্গা বিয়ে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গাদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঘ) সাহায্যে ইচ্ছুক দেশসমূহের সাথে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাগাভাগি করে গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

ঙ) মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা ছাড়া এই সমস্যা উত্তরণে আমাদের আপাত কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : সম্পাদক, গল্পকার

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. ইতিহাস গড়তে চলেছেন রণবীর, এক সিনেমার বাজেট ১৬০০ কোটি
  2. ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাতে বসেছেন সাইফ আলী খান
  3. ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...
  4. ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির
  5. বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক
  6. বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল
সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাস গড়তে চলেছেন রণবীর, এক সিনেমার বাজেট ১৬০০ কোটি

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাতে বসেছেন সাইফ আলী খান

ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...

ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির

বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক

ভিডিও
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩২
সকাল বেলার নিমন্ত্রণে : পর্ব ০২
সকাল বেলার নিমন্ত্রণে : পর্ব ০২
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৩
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ৭
আপনার জিজ্ঞাসা (সরাসরি) : পর্ব ৮৭৩
আপনার জিজ্ঞাসা (সরাসরি) : পর্ব ৮৭৩
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x