প্রতিক্রিয়া
বন্ধ হোক শিশুহত্যা
ইদানীং কিছু অমানুষকে দেখছি শিশু-কিশোরদের নিজ হাতে নানা পৈশাচিক কায়দায় মেরে ফেলে যেন তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। অনেকে আবার সেসব মৃত্যুযন্ত্রণা দেখার সাক্ষী হয়ে সেসব দৃশ্য ভিডিও করছেন। শিশুদের প্রতি জঘন্য, নৃশংস এসব নির্যাতন দেখতে কোনো সুস্থ মানুষেরই ইচ্ছা হয় না। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম (যেমন ফেইসবুক) মাধ্যমে ভিডিওতে ধারণকৃত বর্বর এসব দৃশ্যগুলো ছড়িয়ে পরছে।
অনেক আগেও যে এসব ঘটনা ঘটত না তা কিন্তু নয়। ঘটত। তবে আমরা ঘটনাগুলো প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে কেবল পড়তাম। বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে এবং ভিডিওর মাধ্যমে লাইভ দৃশ্য চলে আসায় অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে পুলিশে সোপর্দ করা সম্ভব হচ্ছে। সেখানে ফেসবুকের মাধ্যমে অপরাধের ঘটনাগুলো প্রকাশ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মিডিয়াগুলোও (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন পত্রিকা) সরব হয়ে ওঠে। এর ফলে সচেতন নাগরিক সমাজসহ সবাই ওই বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মুহূর্তে তৎপর হয়ে পড়ে। বর্তমানে মিডিয়াগুলো ঘটনার ফলোআপ করে বলেই এখনো সব মামলার অপরাধীরা সাধারণ জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখতে সাহস পায় না। যার জন্য মিডিয়ার ধন্যবাদ প্রাপ্য। তবে জনমত নির্বিশেষে মিডিয়াগুলো যদি সত্যিকার অর্থেই নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তবে নানা ঝামেলায় জর্জরিত দেশের জনগণের প্রকৃতপক্ষে সবার সুবিধা হয়।
তবে যাঁরা রাজন, রাকিবের মতো শিশুদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য আকুতি দেখেও কেবল ভিডিও করেই যাচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই দয়া করে ভিডিও করা বাদ দিয়ে ওদের বাঁচাতে ছুটে যান। প্লিজ নিজেকে রক্ত মাংসের মানুষ বলে মনে করুন। এরকম ঘটনা যে আগামীকাল আপনার সন্তানের ওপর নেমে আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে, বলুন?