Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

গল ফোর্টের ইতিহাসে সাদিয়া

তানিয়া বৃষ্টির দিনরাত্রি

সুইমিংপুলে ভাবনা

ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের উল্লাস

উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

স্টাইলিশ পারসা ইভানা

অন্য এক তানজিন তিশা

স্নিগ্ধ নাজনীন নিহা

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

ভিডিও
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
গানের বাজার, পর্ব ২৪০
গানের বাজার, পর্ব ২৪০
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৭১
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
এই সময় : পর্ব ৩৮৪৭
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৬
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৬
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৪
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৪
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৫
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৫
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭
আপডেট: ১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭
আরও খবর
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই
জয়ের ঘনঘন বক্তব্য বদলের ব্যাখ্যা দিলেন আলী রীয়াজ
পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঠাগারগুলো টিকিয়ে রাখতে কী করা যেতে পারে

রোহিঙ্গা সংকট

তীরে বাঘ, জলে কুমির

ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭
ড. আবদুল লতিফ মাসুম
১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭
আপডেট: ১৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৭

রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্মমতার খবর এসেছে আবার। অশান্ত এবং সহিংস বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা জনগণের রক্তে লাল হয়েছে নাফ নদীর পানি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তচৌকিতে তথাকথিত রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার জের ধরে নিরাপত্তা বাহিনী নিরীহ-নিরস্ত্র রোহিঙ্গা অধিবাসীদের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে। এতে কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কার্যত সব কর্তৃত্বের মালিক অং সান সু চির দপ্তর ২৫ আগস্ট জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ১২।

মূলত সাধারণ মানুষের মৃত্যুকে আইনানুগতা দেওয়ার জন্য ওই ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়। সাধারণ মানুষ অন্য যারা নিহত হয়েছে, তাদের সংখ্যা মিয়ানমারের সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী ৭৭ জন। তারা সকলেই ‘জঙ্গি’ বলে দাবি করা হয়েছে। ‘জঙ্গি’ শব্দটি ভারতের আবিষ্কার। এখন দক্ষিণ এশিয়ার তথা উপমহাদেশের যেখানেই যেকোনো ঘটনা ঘটুক না কেন, দায় চাপানো হয় জঙ্গিদের ওপরে। জঙ্গিদের ওপরে দায় চাপালে আর কারো কোনো মানবিক ও রাষ্ট্রিক দায়িত্ব থাকে না—ভাবখানা এমন। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

ইতিহাস সাক্ষী যে ১৯৪৮ সালে স্বাধীন বার্মা রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর থেকে অসংখ্যবার রোহিঙ্গা মুসলমানদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে। বারবার তারা বর্মী তথা মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়েছে। দীর্ঘ অতীতের কথা না হয় নাই বললাম। ১৯৯২ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত চারবার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে। আর প্রতিবারই বাংলাদেশে তারা জীবন বাঁচানোর জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেছে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে এসেছিল দুই লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা। ১৯৯৩-৯৭ সালে তথাকথিত কূটনৈতিক প্রয়াসে ফিরে যায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা অধিবাসী। ১৯১২ সালে সাম্প্রদায়িক হানাহানির জের ধরে আবার রোহিঙ্গারা নাফ নদী পাড়ি দেয়। ২০১৬ সালে সীমান্তের চৌকিতে কথিত হামলার পর এসেছে ৮৭ হাজার। এখন ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে অগণিত রোহিঙ্গা নির্মম সহিংসতার পর বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তের দিকে ছুটছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো নদী সাঁতরে অতিক্রম করছে রোহিঙ্গা মুসলিম—এ রকম ছবি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের জন্য আরেক নির্মমতা অপেক্ষা করছে। ক্ষমতাসীন সরকার গত আট বছর রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের মতো জঙ্গিত্ব আরোপ করে তাদের জীবন রক্ষার দায় নিতে অস্বীকার করছে। অথচ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যখন কোনো শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী নিতান্ত জীবন বাঁচানোর তাগিদে সীমান্ত অতিক্রম করে, তখন তাদের আশ্রয় দেওয়া যেকোনো রাষ্ট্রের মানবিক দায়িত্ব। দুর্ভাগ্যের বিষয়, বাংলাদেশ সরকার গত আট বছর এই মানবিক মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করছে। বাংলাদেশ জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ একটি দেশ। আমাদের অর্থনৈতিক ভিতও অতটা শক্ত নয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতা ও আতিথেয়তার প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসজুড়ে।

পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ আছে কি না সন্দেহ, যেখানে নিজ সরকার তাদের পরবাসী মনে করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যে জনপদে রোহিঙ্গাদের বসবাস, সে ভূমিতে তাদের বসবাসের অধিকার নেই। তাদের ভোটাধিকার নেই। তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। এমনকি তাদের স্বেচ্ছায় সন্তান গ্রহণের ইচ্ছাটুকুও নেই। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতি পৃথিবীর তাবৎ মানুষের মানবিক বিশ্বাস রয়েছে। কারণ তারা বলে, ‘অহিংস পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ’। অথচ সে বাণী আজ সে ধর্মের অনুসারীদের দ্বারাই কলঙ্কিত। সবচেয়ে বিস্ময় জাগে যখন দেখি, তথাকথিত বৌদ্ধভিক্ষুরা মুসলমানদের প্রতি খড়্গহস্ত। সব দোষ নন্দ ঘোষ। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে মুসলমানরা রয়েছে, তাদের প্রতি সর্বত্রই জঙ্গিত্ব আরোপ করা হচ্ছে। এ ধরনের সাধারণ দোষারোপকে আন্তর্জাতিক ভাষ্যকাররা একপেশে, অন্যায় ও অমানবিক মনে করেন। শক্তিবটে যে বৃহত্তর মিয়ানমারে জাতিগত সংঘাত স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিকে গৃহযুদ্ধরত রেখেছে। শান, কারান ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর মতো রাখাইন প্রদেশও একটি সংগ্রামশীল জনপদ। রোহিঙ্গারা যে দেশটিকে বলে ‘আরাকান’, তার বিরোধীরা বলে ‘রাখাইন’ প্রদেশ। রাখাইনরা বৌদ্ধ এবং বর্মী নৃগোষ্ঠীর লোক হওয়ার কারণে সব সময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের মদদ পেয়ে আসছে। সেখানে প্রথমত, রাখাইন রোহিঙ্গা স্বার্থের দ্বন্দ্ব অবশেষে সামরিক সরকারের শক্তি প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়। তেমনি একটি দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটে গত সপ্তাহের ঘটনা।

গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট বাংলাদেশসংলগ্ন মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুসলিম বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ ঘটে বলে মিয়ানমারের সরকারি ভাষ্যে বলা হয়। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়নের সূত্র হিসেবে প্রায়ই উল্লেখিত রাখাইন বা মিয়ানমারের সেখানকার বাহিনী এমনতর ঘটনা ঘটায় এবং সেই অজুহাতে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়ন শুরু হয়। মিয়ানমারের সরকারি ভাষ্যে আরো বলা হয়, কমপক্ষে ২০টি বাংলাদেশসংলগ্ন সীমান্তচৌকিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ হামলার ফলে গত কয়েক মাস আগের নিপীড়নের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আবার এ ধরনের হামলা হলো। এ হামলার ফলে সীমান্তে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আবার বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে অথবা নাফ নদীতে ভাসমান রয়েছে অথবা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হাতে আটক রয়েছে। ২৫ আগস্ট ১৪৬ আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাকে বিজিবি জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে। সীমান্তবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের পথে আরো অনেক রোহিঙ্গা বিজিবির হাতে আটক হয়েছে। প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে ৫০ থেকে ৬০ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। আর বিজিবি তাদের পাহারারত রয়েছে। বাংলাদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য তাদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এ কার্যব্যবস্থা জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ সরকার ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। মৌলিক মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত এ ব্যবস্থা মানবিক বিবেচনায় অগ্রাহ্য হতে বাধ্য। প্রতিবেশী ভ্রাতৃপ্রতিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশের মানবিক দায় রয়েছে। তারা বাংলাদেশ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আত্মিক, ভাষাগত এবং নৃতাত্ত্বিক মিল রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ‘মুসলিম পরিচয়কে’ সর্বদা সংবেদনশীল মনে করেছে এবং অনুসৃত ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিপরীত বলে ধারণা করেছে। যেহেতু তারা বাংলায় কথা বলে, সে কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সরকার তাদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখাতে পারে। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সংবিধানে কঠিন করে ধর্মনিরপেক্ষতা অনুসরণে তাগিদ রয়েছে। ভারত নেহরু আমল থেকেই ‘পঞ্চশীলা নীতি’র অনুসারী বলে এই ভারতই আবার যখন যেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী বিপাকে এবং বিপদে পড়েছে, তখন তারা দূর সমুদ্র পাড়ি দিয়েও তাদের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও সহযোগিতা প্রকাশ করেছে।

সম্ভবত ২০০০ সালের প্রথম দিকে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ ফিজিতে হিন্দু জনগোষ্ঠী রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়। তখন ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি ব্রিগেড ফিজির হিন্দু জনগোষ্ঠীর সমর্থনে সেখানে গমন করে। একই ঘটনা ঘটে যখন আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের দেশগুলোতে ভারত উদ্ভূত জনগোষ্ঠী বাণিজ্যিক ও পারিপার্শ্বিক সংকট মোকাবিলা করে। কয়েক বছর আগে লোহিত সাগরের মুখে অবস্থিত এডেন বন্দরে ভারতীয় জনগোষ্ঠী বিপন্নবোধ করলে ভারত সেখানে রণতরী পাঠায়। দূরের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারত হস্তক্ষেপ করে না বলে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই সেদিন যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অথবা ঝিনাইদহে, যেখানেই সংখ্যালঘিষ্ঠ অংশ সহিংসতার শিকার হয়েছে, সেখানেই ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কখনো কখনো ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, শাসক দলের নেতা অথবা হাইকমিশনার সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন। ১৯৭৪ সালের দিকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণ সম্প্রসারিত হয় এবং শিখদের গুরুদুয়ারার সীমারেখা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়, তখন তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রত্যক্ষ করেছে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হতে। সুতরাং বাড়ির পাশে আরশীনগরে পড়শিরা যখন বিপদগ্রস্ত, তখন বাংলাদেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।

নিজ দেশের নাগরিক সাধারণ অথবা বংশোদ্ভূত অথবা বংশপরম্পরা বিপদগ্রস্ত হলে বিশ্বের অসংখ্য দেশকে আমরা দেখেছি স্বার্থের জন্য এগিয়ে আসতে। রাশিয়া এই পরম্পরার দোহাই দিয়ে ক্রিমিয়া দখল করেছে। এখন ইউক্রেনের সীমান্তে সশস্ত্র হস্তক্ষেপের পাঁয়তারা করছে। পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে রক্ষা করার জন্য অনেক রক্ষাকবচ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। যখন বাংলাদেশের ওপর বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং গোটা বিশ্বের প্রতিবাদের মুখেও ‘মগের মুলুকের’ কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, তখন ডেকে পাঠানোর মৃদু প্রতিবাদে কাজ হবে না। যেহেতু বাংলাদেশ আরাকান বা রাখাইন স্টেটের সবচেয়ে নিকটবর্তী দেশ এবং রোহিঙ্গারা নিপীড়নের শিকার হলেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেহেতু প্রতিবেশীর দায়, মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক রীতি-রেওয়াজ অস্বীকার করার কারণে বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করতে পারে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা প্রশ্নে মানবিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গোটা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বশীল ওআইসির মহাসচিব সেদিন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে গেলেন। তাঁরা অবশ্য আহা! উহু! ছাড়া তেমন করছেন না। কিছু করার দায় নিয়েছিল আনান কমিশন।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে রোহিঙ্গাদের বিষয় সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়। অনেকটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার নৈতিক চাপে গঠিত এ কমিশন ২৮ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ভোটাধিকার প্রদান এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বিস্ময়ের ব্যাপার, কফি আনানের এই সুপারিশ প্রণয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোহিঙ্গাদের দ্বারা তথাকথিত সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটল। আন্তর্জাতিক রাজনীতির কুশীলবরা বিশ্বাস করেন, এর পেছনে মিয়ানমার রাষ্ট্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে, যাতে আনান কমিশনের দায়ভার থেকে মিয়ানমার যথার্থই মুক্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী তথাকথিত শান্তির বার্তাবাহী অং সান সু চি এখন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মতো তিনিও অভিন্ন ভাষা, কৌশল এবং কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিলেন। এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, স্থিতি এবং নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. গায়ক অরিজিৎ সিং এবার পরিচালক, বানাচ্ছেন প্যান–ইন্ডিয়ান সিনেমা
  2. ৩ হাজার টাকার লোভে বাংলা শেখেন অমিতাভ বচ্চন
  3. ‘নেটফ্লিক্স সাহসী গল্প বলতে ভয় পায়, দর্শক বোঝে না’
  4. রোগা হওয়া প্রসঙ্গে কী জানালেন করণ?
  5. প্রিয়াঙ্কার নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুললেন প্রযোজক
  6. বাবা হচ্ছেন রাজকুমার রাও
সর্বাধিক পঠিত

গায়ক অরিজিৎ সিং এবার পরিচালক, বানাচ্ছেন প্যান–ইন্ডিয়ান সিনেমা

৩ হাজার টাকার লোভে বাংলা শেখেন অমিতাভ বচ্চন

‘নেটফ্লিক্স সাহসী গল্প বলতে ভয় পায়, দর্শক বোঝে না’

রোগা হওয়া প্রসঙ্গে কী জানালেন করণ?

প্রিয়াঙ্কার নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুললেন প্রযোজক

ভিডিও
রাতের আড্ডা : পর্ব ১১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৮২
গানের বাজার, পর্ব ২৪০
গানের বাজার, পর্ব ২৪০
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৭১
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
কোরআনুল কারিম : পর্ব ১৪
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৬
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৬
নাটক : শেষ গান
নাটক : শেষ গান
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x