বাংলাদেশে করোনা সংকট ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা
করোনা আর কতদিন?
এই প্রশ্নটি সব আলোচনার শেষ প্রশ্ন। কেউ এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। তার পরও নানা মত। এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণাও হয়েছে। অনেক স্বাস্থ্যবিদের ধারণা, করোনা মোকাবিলার জন্য এপ্রিল মাসটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ যাবৎকাল যত মহামারি হয়েছে, প্রত্যেকটি মহামারির রোগ ছড়ানোর একটি প্যাটার্ন থাকে। একসময় সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছায়। তারপর আবার আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসে। তবে সংক্রমণ কমে যাওয়ারও কিছু ফ্যাক্টর থাকে। যেমন—সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে কি না, হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার, হাত ধোয়ার অভ্যাস ইত্যাদি পরামর্শগুলো কতটা দায়িত্বের সঙ্গে জনগণ পালন করছে। পাশাপাশি সরকারের ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও চিকিৎসার সহজলভ্যতা—এর সবকিছু মাথায় রেখে এপ্রিল মাসটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ অনেক স্বাস্থ্যবিদের ধারণা, এপ্রিলেই সংক্রমণ বেশি হতে পারে। তাই এপ্রিল মাসে যদি সংক্রমণ দমন করা যায়, তাহলে এই ভয়ংকর মহামারির হিংস্র থাবা থেকে বেঁচে যেতে পারি। হয়তো এরই অংশ হিসেবে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশে অনেকটা লকডাউন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেখার বিষয়, গ্রামে এই রোগের বিস্তার কেমন হয়। কেননা, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর লাখ লাখ মানুষ ট্রেন, লঞ্চ, বাস ইত্যাদি গণপরিবহনে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এই গণজমায়েত থেকে ভাইরাস সংক্রমণ কেমন হয়, সেটাও দেখার বিষয়।
সময় কোথায় নষ্ট করার
ঘড়ির কাঁটা যেন সময়ের আগেই বদলে যাচ্ছে। সময় কোথায় সময় নষ্ট করার! করোনাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক অজানা রোগের কথা জানতে পারে। শুরুটা চীনে। তারপর দিন পেরেয়ে মার্চ। দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে ইতালি। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে করোনার থাবা।
আমরা জানতাম আসবেই। করোনাকে দমন করার জন্য আমরা কি প্রস্তুত ছিলাম? হ্যাঁ, আমরা বারবার বলেছি, আমরা প্রস্তুত। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। এখন সরকার অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ জন্য সাধুবাদ জানাই।
যত আতঙ্ক তত গুজব
যেহেতু করোনাভাইরাসটি নতুন। প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি ভাইরাসটি ঘিরে। আর তাই আজানা আতঙ্কে বুক ভারী হয়ে আসছে অনেকের। আর নেট দুনিয়ায় গুজবের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, যা মানুষকে আরো আতঙ্কিত করে তুলছে। গুজবকে কেন্দ্র করে কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন, কেউ কেউ খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দেখা মিলছে কম। হাইড্রোক্সিক্লোরোফুইন নামে একটি ওষুধ, যা অন্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ফেসবুকবাসীর কেউ কেউ বলছেন, এ ওষুধ করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর! অমনি বাজার থেকে উধাও ওষুধটি। গুজবের শেষ নেই। এমনকি করোনাভাইরাসে মৃত্যু হলে লাশ দাফন নিয়ে গুজব। অথচ সরকারের একটি গাইডলাইনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে কীভাবে লাশ দাফন করা হবে। কে শোনে কার কথা! গুজব প্রতিরোধ জরুরি হয়ে পড়েছে।
সুপার হিরোদের অপেক্ষায়
যখন এক অদৃশ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস তামাম দুনিয়া তছনছ করে ফেলছে, সারি সারি মৃত্যুর মিছিল দেশে দেশে, তখনো কি নিশ্চুপ থাকবে তথাকথিত সুপারহিরোরা? শিশুমনে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। যদিও এই ভাইরাস কিছুটা শিশুবান্ধব বলে কেউ কেউ ধারণা করেন। কিন্তু একেবারেই বাদও যায়নি। শিশুরাও ভাবছে, কমিক জগতের সেইসব সুপারহিরোদের কথা—আইরনম্যান, থর, হাল্ক সাহেবরা যদি এক হয়ে Avengers Infinity War বা Avengers Endgame ছবির মতো আমাদের এই গ্রহকে যদি বাঁচাতে পারত!
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও চুলার আগুন
করোনাভাইরাস আতঙ্কের আগে আমরা কখনো এত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করিনি। এতে আমাদের দৈনন্দিন কাজে ও অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এসেছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না। আবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে লাগানো অবস্থায় চুলার আগুনের কাছে যাবেন না। কারণ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে আছে অ্যালকোহল, যা দাহ্য পদার্থ। হাতে আগুন লেগে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যদি ভালোভাবে মেখে শুকিয়ে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে। হাত ভেজা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কতবার হাত ধোবেন
এ প্রশ্নটি বারবার শুনতে হচ্ছে। কারণ আমরা সবাই পরামর্শ দিচ্ছি, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বারবার হাত ধোবেন সাবান-পানি দিয়ে। হাতের কবজি পর্যন্ত। সুগন্ধি সাবান, কাপড়-কাচা সাবান যেটাই হোক না কেন; যখনই কোনো জিনিস স্পর্শ করবেন এবং সেই জিনিসে অন্যদেরও হাতের স্পর্শ লাগার সুযোগ আছে। যেমন—আপনার অফিসে আসার লিফটের বাটন। সুতরাং যতবার স্পর্শ ততবার ধুতে হবে। স্পর্শ করা হাত কোনো অবস্থাতেই মুখ, নাক ও চোখে স্পর্শ করবেন না।
করোনা সাসপেক্টেড রোগী কোথায় যাবেন
চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ত্রুটি লক্ষ করা যাচ্ছে। আসলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা কী চাচ্ছেন, তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। হাঁচি-কাঁশি, জ্বরের রোগীরা কোথায় যাবেন, চিকিৎসা নিতে তার কোনো গাইডলাইন নেই। এঁদের জন্য হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে চিকিৎসা করানো যেত। রোগীদের স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে, হাসপাতালগুলো চিহ্নিত করে রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জানানো দরকার।
দেশের সব হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাহলে আরো বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। যেমন—টোলারবাগে যে বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁর ছেলে অভিযোগ করেছেন যে তাঁর বাবাকে কোনো হাসপাতাল ভর্তি করতে চায়নি। এভাবে তিনি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করার পর অবশেষ ডেলটা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করান। অর্থাৎ ইতোমধ্যে রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে অনেককে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলেছেন।
পিপিইর যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক
আমরা দেখেছি, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও অনেকে পিপিই ব্যবহার করে ফেসবুকে ছবি দিচ্ছেন। আমরা চাই, পিপিইর যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক। বাংলাদেশে এ সময় পারসোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমন্ট (পিপিই) অত্যন্ত প্রয়োজন। ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি সুরক্ষা না পান, তাহলে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারবেন কি করোনার সঙ্গে? কিন্তু কোনো কোনো হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে, ডাক্তারদের নিজ দায়িত্বে মাস্ক ব্যবহার করতে, পিপিই তো অনেক দূরের কথা! পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই মাস্ক, পিপিইর সংকট চলছে। সব দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় প্রস্তুতি কম। শুধু অভিযোগ করে সমাধান হবে না। বিশেষজ্ঞদের উচিত, যৌক্তিক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা।
কীভাবে বুঝবেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না
বাংলাদেশে অনেক মানুষেরই নানা ধরনের হাঁচি, কাশি, জ্বর প্রায়ই লেগে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের উপসর্গ হলে তেমন একটা চিন্তা করেন না। অনেকে চিকিৎসাও করেন না। বাড়ির পাশের ফার্মেসি থেকে একটি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন।
আমাদের দেশে ধুলাবালি বেশি থাকায় ও অনেকের অ্যালার্জি থাকায় এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আবহাওয়া ভালো থাকায় বেশিরভাগ মানুষের জ্বর-কাশি, সর্দি-হাঁচি খুব একটা হয় না। যদি হয়ও, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা করে থাকেন। সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট উপসর্গের সঙ্গে সাধারণ ফ্লুর উপসর্গের অনেক সাদৃশ্য। তবে পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু পার্থক্যও ধরা পরেছে। করোনাভাইরাস ইনফেকশনে কেউ উপসর্গবিহীনও থাকতে পারেন। আবার উপসর্গ না থাকলেও ক্যারিয়ার হিসেবে বাহক হয়ে রোগ ছড়াতে পারে। শুধু মৃদু শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও ভাইরাল জ্বরের মতো উপসর্গ থাকতে পারে। শতকরা ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে। মনে রাখবেন, অবসাদগ্রস্ততা/ ফ্যাটিগ অনুভব করেন কি না। করোনাভাইরাসে সাধারণত কফ বের হয় না। শুধু খুশখুশে কাশি হয়। জ্বর-কাশির সঙ্গে গলার ভেতরে অস্বস্তি হতে পারে। তবে নাক দিয়ে পানি বের হওয়া বা সর্দি হয় না। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যে কজন শনাক্ত হয়েছে, কারো নাক দিয়ে পানি বের হওয়া বা সর্দি, পেটের পীড়া বা ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে কেউ কোভিড-১৯ রোগে শনাক্ত হয়নি। করোনাভাইরাসে ফুসফুসের প্রান্তিক পর্যায়ে আক্রান্ত হয়। যেমন—ফসফুসের অ্যালভিওলাই (Alveoli) নষ্ট হয়ে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম (ARDS) নামক একটি মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। সে জন্য বেশির ভাগ রোগীর ভেন্টিলেশন সাপোর্ট লাগে।
বিশ্বে এখন ভেন্টিলেটর সংকট
আমাদের দেশে যদি একসঙ্গে অনেক রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হয়, তাহলে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা জানি না। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র হওয়া উচিত এক কক্ষবিশিষ্ট। তাহলে একজনের রোগ অন্যের দেহে প্রবেশ করবে না। এমনভাবে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রকে সুরক্ষিত করতে হবে, যাতে প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসা বা দেখভাল করতে সুবিধা হয়।
কোভিড-১৯ রোগীদের সাধারণ আইসিইউতে রাখা ঠিক নয়
এ অবস্থায় আইসিইইউ রোগীদের নেবুলাইজেশন না করাই ভালো। নেবুলাইজেশনের মাধ্যমে কোভিড ১৯-এর রোগীদের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস বাইরে বাতাসে কুণ্ডলীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোভিড-১৯ শনাক্ত হলে সেসব রোগীকে কখনোই সাধারণ আইসিইউতে রাখা ঠিক নয়।
খাবারের মাধ্যমে করোনা ছড়ায় কি না
এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হাজারো উৎসুক জনতা অপেক্ষায় আছেন। টেলিভিশনে প্রতিটি করোনাবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রশ্নটি থাকে। এতদিন ধারণা করা হতো এ ভাইরাস শুধু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। আবার হ্যান্ডশেক, কোলাকুলির মাধ্যমে ছড়ায়, অথবা বদঅভ্যাসবশত হাতের আঙুল ভুলবশত মুখে, নাকে অথবা চোখের ভেতর স্পর্শ করলে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে ভাইরাস পানিবাহিত রোগের মতো মুখগহ্বরের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। যদি তা-ই হয় তাহলে এটা হবে এক বড় বিপর্যয়। এ ক্ষেত্রে পায়ুপথের সোয়াব টেস্ট করা যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, তখন সুয়ারেজ লাইনে কোনো সমস্যা থাকলে তা থেকেও রোগটি ছড়াবার আশঙ্কা থাকবে। উল্লেখ্য, আমেদের দেশে এখনো যেসব রোগী শনাক্ত হয়েছে, কেউ ডায়রিয়া উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি। তবে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
আরো বেশি সংখ্যায় করোনার টেস্ট করতে হবে
এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, করোনা সংকটকে মোকাবিলা করতে হলে আরো বেশি সংখ্যায় টেস্ট করতে হবে। জনগণের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাসহীনতা বাসা বেঁধেছে। তাঁদের ধারণা, আগে বেশি টেস্ট করলে আরো বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হতো। জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিচ্ছবি এঁকে দিতে হবে। কোনো দেয়াল রাখা যাবে না। সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই ভাইরাসকে বিতাড়িত করতে হবে।
আর তাই ঢাকার বাইরে প্রান্তিক পর্যায়ে এই টেস্ট করানোর সুযোগ প্রসারিত করতে হবে। যদিও এই পরীক্ষা অত্যন্ত জটিল। আরেকটি বিষয়, দেশের বড় বড় ল্যাবগুলো স্যাম্পল কালেকশন করেও আইইডিসিআরে পাঠাতে পারে।
লেখক : অধ্যাপক, কার্ডিওলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়