রাবির ছাত্রমৈত্রীর নেতা দিলীপের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দিলীপ রায়কে আটক করা হয়।
শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৭ ধারাসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ফেসবুকের দুটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় পুলিশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিলীপ রায়কে আটক করেছে। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা ৫৭ ধারায় মামলা করেন। এই আইনে কাউকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাবাস করা লাগতে পারে।’
বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ৫৭ ধারা বাতিল করা উচিত এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভিন্নমত পোষণকারীদের এই আইনের দ্বারা হয়রানি ও হুমকি প্রদান বন্ধ করা উচিত। কোনো দেশে এই ধরনের দমন-পীড়নমূলক আইন থাকা উচিত নয়।’
গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়কে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু। দিলীপকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আদালতে দিলীপের জামিনের আবেদন গত ৩১ আগস্ট নামঞ্জুর হয়।