ঢাবিতে পোস্টার লাগানোর সময় ছাত্রদল নেতাকে মারধর
পোস্টার লাগাতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের এক নেতা। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দেওয়া দণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ডাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে যান ওই ছাত্রদল নেতা। মারধরের পর তাঁকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
পুলিশে সোপর্দ করা ওই ছাত্রদল নেতার নাম নূরে আলম ইমন। তিনি ফজলুল হক মুসলিম হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের হল কমিটির সদস্য।
জানা যায়, কার্জন হল এলাকায় ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক রায় ঘোষণার প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘট’ লেখা পোস্টার ও ব্যানার লাগাতে যান কয়েকজন ছাত্রদল নেতা। খবর পেয়ে ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বাকিরা নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হলেও নূরে আলম ইমন ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাঁকে মারধর করে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি আল মেহেদি তালুকদার বলেন, ‘পোস্টার লাগানোর সময় আমাদের এক নেতাকে ছাত্রলীগ ধরে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচার না করা হলে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাব।’
ছাত্রলীগের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, গতকাল রাতে এক কর্মচারীর ছেলে, তিনি ঢাবির ছাত্র না, পোস্টার লাগাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু আটক যুবকের পরিচয় দিলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আটক ওই যুবক ছাত্রদল নেতা কি না, তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পোস্টার লাগানোর সময় এক ছাত্রদল কর্মীকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। আমরা যাচাই-বাছাই করছি, পুরোনো কোনো ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।’
তবে এ নেতার বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ওসি।