মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত এক হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য প্রায় ১২ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে এ ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।

ত্রাণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ত্রাণমন্ত্রী মায়া বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যখন কক্সবাজারে আসে, তখন তাদের আশ্রয় নেওয়া জায়গাটি ছিল বন-জঙ্গল ও বসবাসের অনুপযুক্ত। আর এখন সেই জায়গায় ৭৫ হাজার অস্থায়ী বাড়ি তৈরি হয়েছে। জায়গাটি একটি উপশহরে পরিণত হয়েছে। শরণার্থীদের সুবিধার  জন্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তা দরকার ছিল। তার মধ্যে ৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। ৮ কিলোমিটার জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশেরই নয়, সারা বিশ্বের মানবতার নেত্রী।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ত্রাণ হস্তান্তর  সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ১৯৬৭-৭০ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ) ছাত্র ছিলাম। আজ এই প্রতিষ্ঠানটি মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম দেখে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনুপ্রাণিত হবে।’ এমন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একযুগ পূর্তি হতে যাচ্ছে। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আড়ম্বরতা (কনসার্ট, আলোকসজ্জা) পরিহার করে অনুষ্ঠানের জন্য ব্যয়িতব্য অর্থ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণের ব্যাপারে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গঠিত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ত্রাণ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর অংশ নিয়েছে।