নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কুলিয়ারচরের সাজিবুর

সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে কাউকে গুণহীন করে পাঠাননি, প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিশেষ প্রতিভা বা মেধা নিয়ে জন্ম নেয়। ঠিক তেমনই, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের অজপাড়া গ্রামের এক শিশুর গল্প আজ আলোচিত, যার নাম সাজিবুর। সে গোবড়িয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের সলিমউল্লাহ পাড়ার ছেলে। বাবা আলাপ মিয়া ও মা লেহাতুন বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান সাজিবুর স্থানীয় লক্ষ্মীপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সাজিবুরের মধ্যে রয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রমী প্রতিভা। সে অদ্ভুতভাবে তার ঘাড় ও মাথা নাড়াতে পারে। মনে হয় যেনো সেগুলো দেহের সাথে সংযুক্ত নয়, আলাদা কোনো সত্তা। শুধু তাই নয়, সাজিবুর নিখুঁতভাবে কুকুর, বিড়াল, ছাগল, কাকসহ বিভিন্ন প্রাণীর ডাক নকল করতে পারে। সে বিন বাজিয়ে সাপুরের সুরও তুলতে পারে গলায়। এমনকি বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী মানুষের হাঁটার ভঙিও দারুণভাবে অনুকরণ করতে পারে।
এসব প্রতিভা সাজিবুরের নিজের শেখা, কোনো শিক্ষকের কাছে নয়, বরং সে নিজের মতো করে শিখে নিয়েছে। তার এই দক্ষতা দেখতে ও শুনতে প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় করে। আসেন গণমাধ্যমকর্মীরাও।
তার শিক্ষকরা জানান, স্কুলের অনুষ্ঠানগুলোতে সাজিবুর তার ব্যতিক্রমী পরিবেশনা উপস্থাপন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে। সহপাঠীরাও গর্বিত তার এই প্রতিভায়।
প্রতিবেশী ও গ্রামের লোকজন জানান, তারা সাজিবুরের এই বিরল প্রতিভায় বেশ আনন্দিত। তারা সময় সুযোগ পেলেই ওর কাছে ছুটে আসেন এবং এইসব দেখে পুলকিত হন। তারা দরিদ্র পিতার শিশু সন্তান সাজিবুরের প্রতিভা লালনে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
সাজিবুরের বাবা-মা জানান, মানুষের আনন্দের জন্য ছেলের এইসব কর্মকাণ্ড ভালোই লাগে তাদের। তবে দরিদ্রতার কারণে সাজিবুরের পড়ালেখা থেমে যেতে পারে- এমন শঙ্কায় তারা সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।