চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাফিনার দলের কৃতিত্ব

‘১৫ তম ন্যাশনাল কলেজ স্টুডেন্ট মার্কেট সার্ভে অ্যান্ড এনালাইসিস কম্পিটিশনে’ প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দা রাফিনা ও তাঁর দল।
চীনের গুইঝো প্রদেশের গুইঝো বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭-১৮ মে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমগ্র চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০৩টি দলে এক হাজার ৫০০ জনেরও অধিক সংখ্যাক দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুইঝো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিনরং।
অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গুইঝো প্রাদেশিক কমিটির শিক্ষা কর্ম কমিটির উপসচিব লি জুন, চাইনিজ সোসাইটি অব কমার্শিয়াল স্ট্যাটিস্টিক্সের সভাপতি জিন ইয়ংজিন, ন্যাশনাল কলেজ স্টুডেন্ট মার্কেট সার্ভে অ্যান্ড অ্যানালাইসিস কম্পিটিশনের আয়োজক কমিটির পরিচালক, রেনমিন ইউনিভার্সিটি অব চায়নার অধ্যাপক, গুইঝো ইউনিভার্সিটির পার্টি কমিটির উপসচিব ঝাং জি, গুইঝো ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিনরংসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
চিনে অধ্যায়রত মাস্টার্সের দেশি-বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল তাদের গবেষণা ও সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্যাবলী উপস্থাপন করে। "সার্ভে অ্যান্ড রিসার্চ অন পাবলিক অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এক্সেপটেন্স অব শিয়া বাটার" বিষয়ে উপস্থাপনার মাধ্যমে সৈয়দা রাফিনা ও তাঁর দল প্রথম স্থান পেয়ে পুরস্কার অর্জন করে।
এর আগে ২০১৯ সালে চীন সরকারের আমন্ত্রণে চীনে দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষা সফর করেন সৈয়দা রাফিনা।
ঢাকায় চীনা ভাষা শিক্ষা গ্রহণকালে ২০১৯ সালের আগস্টে তাঁকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের সানডং ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক’ বিষয়ে অনার্স করার জন্য পুনরায় চীনে চলে যান। করোনার সময়ে চীনে অবস্থান করে পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং চার বছর মেয়াদি অনার্স সম্পন্ন করেন। পরে মাস্টার্স করার জন্য চলে যান নানজিং প্রদেশের নানজিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর মাস্টার্স সম্পন্ন হবে।
সৈয়দা রাফিনা বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সৈয়দ সফির ছোট মেয়ে।