তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ২২ পেশাজীবী সংগঠনের বিবৃতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে ২২টি পেশাজীবী সংগঠন। এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেন, দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দাবি উপেক্ষা করে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ইচ্ছানুযায়ী একতরফা তফসিল ঘোষণা করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর দুটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। নগ্ন দলীয়করণের ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও পুলিশ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তারা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট ও ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১৫ বছরে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদেরও দলীয়করণ হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, এটা সর্বজন স্বীকৃত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পরের দুটি নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার ফসল হিসেবে দেশে নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়েছিল। এর ফলে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালে চারটি তুলনামূলক ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সরকারের আমলে বর্তমান নির্বাচন কমিশন একাই সুষ্ঠু নির্বাচন করে ফেলতে পারবে, এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য আলামত আমরা দেখতে পাইনি। কুমিল্লার উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপিকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা, বগুড়ায় হিরো আলমের অভিজ্ঞতা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের ঘটনাগুলো এ ক্ষেত্রে নজির হিসেবে উল্লেখ করা যায়। নির্বাচন সংস্কৃতিতে অনাস্থা সৃষ্টি করার মতো আরও ঘটনা গত কয়েক বছরে আমরা লক্ষ করেছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ।