ভৈরবে ছাদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শহরের ভৈরবপুর গাছতলাঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আত্মহত্যার জন্য মেয়েটি ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে নাকি হত্যার জন্য তাঁকে কেউ ফেলে দিয়েছে, পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি। তাই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানায়, তারা সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাত ওই নারীকে ছিদ্দিক মিয়ার চারতলা ভবনের নিচে রাস্তার ওপর পড়তে দেখেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. মিজবাহ উদ্দিন জানান, উঁচু ভবন থেকে পড়ায় রোগীর হাত-পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এসআই নাজমুল হাসান জানান, ভৈরব শহর বা আশপাশের গ্রাম বা পাড়া-মহল্লার কেউ হলে এ সময়ের মধ্যে খোঁজ পাওয়া যেত। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে অন্য কোথাও থেকে এনে থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
অপরদিকে ভবনের মালিক হাজি ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী জানান, তিনি আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণ করে এসে নাস্তা করে ঘুমিয়েছিলেন। ভবনের নিচে হৈচৈ শুনে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। তবে ছাদে ওঠার গেইট খোলা ছিল বলে তিনি জানান।
ওই ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া রাকাওয়াত উদ্দিন রামিম জানান, ঘটনার সময় তিনি তাঁর কক্ষে ছিলেন। লোকজনের চেঁচামেচির শব্দে তিনি নিচে নেমে এক রক্তাক্ত নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন।
তবে ভবনের বাসিন্দা বা আশপাশের এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি, যিনি ওই নারীকে ভবনটিতে ওঠতে দেখেছেন।