ইনজেকশনের পর শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসক আটক
ভোলার দুই বছরের এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে তারা এই ভাঙচুর চালায়।
গতকাল বুধবার রাতে ভোলা সদর রোডের হাবিব মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকৎসক আবদুল কাদেরকে আটক করেছে পুলিশ।
আদিত্য নামে নিহত ওই শিশুর বাবার নাম রতন দে। তিনি ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
রতন দে বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণে আদিত্যকে বুধবার রাতে শিশু বিশেষজ্ঞ আব্দুল কাদেরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই ডাক্তার এক গ্রাম পরিমাণ সেফট্রোন ইনজেকশন দেন। এক ওয়ার্ডবয় ওই ইনজেকশন দেওয়ার পরই আদিত্য মারা যায়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৃত্যুর ঘটনাটি জানাজানি হলে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় হাসপাতালে ভাঙচুর করে আত্মীয়রা। হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে হাসপাতাল সিলগালা করে দিতেও বলে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ডাক্তার আব্দুল কাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ থেকে আবারো হাসপাতাল সিলগালা করে দিতে বিক্ষোভ করে রোগীর আত্মীয়রা। রাত ২টা পর্যন্ত তাদের এই বিক্ষোভ চলে। এ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার চিকিৎসায় কোনো সমস্যা ছিল না। কীভাবে রোগীর মৃত্যু হলো তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে ইনজেকশন পুশ করতে গিয়ে (ওয়ার্ডবয়ের) কোনো ভুল হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল কবির বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’