কুলিয়ারচরে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পাঁচটি অবৈধ বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুলিয়ারচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. শাহ নুসরাত জাহান আজ বুধবার দুপুরে এই উচ্ছেদ অভিযান চালান। এ সময় কুলিয়ারচর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুলিশ সদস্যরা তাঁকে সহায়তা করেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ নুসরাত জাহান এনটিভি অনলাইনকে জানান, রেকর্ডভুক্ত রাস্তার ওপর নির্মিত আধা-পাকা ও কাঁচা পাঁচটি বসতবাড়ি আজ উচ্ছেদ করা হলো। বাড়িগুলো সরকারি খাস হালট শ্রেণির দশমিক শূন্য ২৭ একর ভূমি অবৈধ দখল করে নির্মিত হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালতের নির্দেশনা পায় জেলা প্রশাসন। পরে গত ২৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে লিখিত দায়িত্ব দেয় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর। ওই চিঠি পাওয়ার পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য বসতবাড়ির ঘরগুলো থেকে মালামাল সরিয়ে খালি করতে নোটিশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্টদের। পরে আজ উচ্ছেদ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর-ভাটিপাড়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম, মো. তারা মিয়া, আব্দুল ওয়াহাব, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হান্নান, আব্দুল হক, মো. শহিদুল্লাহ, মো. আসাদ উল্লাহ, মো. মফিজ উদ্দিন, মো. সোহরাব মিয়া ও মো. মজিবুর রহমান গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের ৪১২১৮ আরএস দাগের হালট শ্রেণির দশমিক শূন্য ২৭ একর রাস্তার ভূমি অবৈধ দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে ব্যবহার করে আসছিল। ওইসব বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের ময়লা রাস্তার ওপর প্রতিনিয়ত পড়ে রাস্তাটি জনগণের ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
পথচারীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিস বিষয়টির সুরাহা এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে চাইলে দখলকারীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের নির্দেশনা মতে জেলা প্রশাসনের আদেশে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা ভূমি অফিস।
এ বিষয়ে মতামত গ্রহণের জন্য অবৈধ দখলদারদের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে থাকা একাধিক নারী তাদের পুরুষ সদস্যরা সে সময় বাড়িতে নেই বলে জানান।