মাদক মামলায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে
কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলাউল আকবর মামলা দুটির শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খায়রুজ্জামান পুটন (৩৮), তৌকির উজ্জামান তাকি (২৫), খালেদ সাইফুল্লাহ শাফায়েত (২৩), আবদুল মোমেন (২৮), সাদিকুল হক খান (২৭), গোলাম রহমান বিবেক (৩৩) ও মাকসুদুল হাসান মামুন (৩৩)।
খায়রুজ্জামান পুটন জেলা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যরাও বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগে তিন সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও সবাই জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার দুপুরে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে খায়রুজ্জামান পুটন, আবদুল মোমেন, খালেদ সাইফুল্লাহ শাফায়েত, তৌকির উজ্জামান তাকি ও সাদিকুল হক খানকে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। এ ঘটনায় মো. বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
একই দিন দুপুরে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদ খানের নেতৃত্বে অপর একটি দল অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলের নিচতলায় অবস্থানরত গোলাম রহমান বিবেক ও মাকসুদুল হাসান মামুনকে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০টি নেশাজাতীয় পেথিডিন ইনজেকশন ও চারটি মুঠোফোন জব্দ করে র্যাব। এ ঘটনায় মো. জাহিদ খান বাদী হয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।