বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে যান চলাচলে ধীরগতি
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ে শনিবার রাত থেকে খুব ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার এলাকায় এ অবস্থা। এ কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা নাকাল হয়ে পড়েছে।
প্রচণ্ড গরম আর নানা দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার মধ্য দিয়েও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা।
এদিকে, হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১৯টি জেলার যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। ফলে গাড়িগুলো থাকায় ধীরগতিতে চলাচল করছে। পুলিশের দাবি এ মহাসড়কে দীর্ঘ কোনো যানজট নেই।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের চালক খায়রুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এ ২২ কিলোমিটার পথ আসতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সড়ক ছাড়াও হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহী মহাসড়কগুলোতেও শ্লথ গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না গাড়িগুলো।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে দীর্ঘ কোনো যানজট নেই। তবে খুবই ধীরগতিতে চলছে গাড়িগুলো। যানজট ও যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে সিরাজগঞ্জের ১০৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ভাম্যমাণ দল, নিরাপত্তা দল, টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি, মাইকে প্রচারণার মাধ্যমে যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। রাস্তায় কোনো গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে রেকার দিয়ে সেটিকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম জানান, যানজট নিরসনে বগুড়া হাইওয়ের ৫৭০ জন পুলিশ ছাড়া সিরাজগঞ্জের ২৭টি পয়েন্টে ১৩৬ জন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য কাজ করছে।